জৈন্তাপুরে শান্তিপূর্ণ পিকেটিংএ হেফাজত কর্মসূচী পালন

0
805

রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ  হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের আমিরের ঘোষণানুয়ায়ী সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সকাল হতে সর্বত্র শান্তিপূর্ণ ভাবে আহত হরতাল কর্মসূচী পালন করে উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা সমুহের ছাত্র-শিক্ষকরা।  জৈন্তাপুর উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার হরিপুর বাজার মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা সকাল হতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের হরিপুর বাজারে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ পিকেটিং কার্যক্রম অভ্যাহত রেখেছে।

এছাড়া সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের হেমু এলাকায়, বাঘের সড়ক এলাকায়, দরবস্ত বাজারে, মানিকপাড়া এলাকায়, চতুলবাজারে, সারীঘাট উত্তরপাড় এলাকায়, সারীঘাট দক্ষিণপার এলাকায়, ফেরীঘাট এলাকায়, নিজপাট লামাপাড়া এলাকায়, চাঙ্গীল এলাকায়, ৪নং বাংলাবাজার এলাকায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকরা পিকেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ভোর হওয়ার পর হতে তাদের আহত শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচী পালন করছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও বাংলাদেশের হেফাজতের আমির মাওলানা বাবু নগরীর ডাকে হরতাল কর্মসূচী ঘোষনা করায় ঈমানী দায়িত্ব হিসাবে এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছেন। পিকেটিংকারী মাওলানা আব্দুস ছামাদ, মাওলানা হিল্লাল আহমদ, মাওলানা আব্দুল জব্বার, মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা আব্দুল হামিদ সহ শতাধিক মাওলানাদের সাথে আলাপকালে তারা প্রতিবেদককে জানান, আমাদের দেশের রাষ্ট্র কিংবা রাষ্ট্র প্রদানের কোন বিরুধীতা আমরা করছি না বরং সরকার তার বাহিনী দিয়ে আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের পাখির মত হত্যা করেছে।

একজন বিধর্মী মুসলিম হত্যাকারী এবং তার নির্দেশে নিজদেশে ভারতের সুপ্রিম কোট এ আল্লাহ প্রেরিত নবী করিম হযরত মোহাম্মদ আলাই সল্লাম এর উপর মুসলিম উম্মার জন্য নাজিল হওয়া কোরআনের ২৬টি আয়াত পরিবর্তন চেয়ে রিট দাখিল করে। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নির্বিচারে মসজিদে ও মাদ্রসায় প্রবেশ করে নামাজরত মুসল্লিদের নির্যাতন হত্যা চালিয়ে আসছে। যে রাষ্ট্র প্রধানের হাত মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত এমন রাষ্ট্র প্রদান বাংলাদেশের মাটিতে না আসার জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ বিরোধিতা করে আসছি।

প্রতিবাদের অংশ হিসাবে আমরা জেলায় জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সরকারের পুলিশ বাহিনী আমাদের তৌহিদী জনতার উপর লাঠি চার্জ সহ নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে হত্যা করা হয়। সেই হত্যার প্রতিবাদে এবং গ্রেফতার হওয়া সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের দ্রুত মুক্তির দাবী, পুলিশের গুলিতে আহতদের চিকিৎসার ভার এবং নিহতের পরিবাদের সুষ্ট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবীতে হেফাজতের আমিরের নির্দেশে এই হরতাল সফল করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আমাদের হরতালকে স্বাগত জানিয়ে দেশের ব্যবসায়ীবৃন্দ, পরিবহন মালিক, পরিবহন শ্রমিকরা তাদের পরিবহন বন্ধ রেখে আহত হরতাল পালনে সহযোগিতা করেছেন এজন্য সবাইকে হেফাজতের আমিরের পক্ষ হতে কতৃজ্ঞতা ও মোবারক বাদ জানান। এছাড়া কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর কোন নির্দেশ আসলে তা পালনের জন্য ধর্মপ্রাণ কোরআন ও নবী রাসুল প্রেমীদের যথাযত পালনের আহবান জানান। অপরদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা সদর ব্যাতীত আর কোথাও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলার সর্বত্র শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচী পালন চলছে।