জৈন্তাপুর জনসচেতনতার অভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ

0
685
জৈন্তপুর জনসচেতনতার অভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ

রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ জৈন্তাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কঠোর আইন প্রয়োগ করার পরও জনসচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে না।

বুধবার ২৮ জুলাই ২০২১ তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হতে জানা যায়, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রামন শুরু হতে এ পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার মধ্যে ২২৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৮৬ জন সুস্থ্য হয়েছে, ৩৭ জন আইসোলেশনে রয়েছে, ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে মৃতদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছে। পূর্বের তুলনায় জৈন্তাপুরের ৬টি ইউনিয়নে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে অন্যান্য উপজেলার চাইতে কিছুটা কম হলেও জনসচেতনতার অভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

২৮ জুলাই বুধবার জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ পরিক্ষার জন্য ১০ জনের স্যাম্পল কালেকশন করনা হয়। অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপে কোভিড ১৯ টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ হাজার ৭ শত ৭৭ জন। প্রতিদিন টিকা গ্রহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জৈন্তাপুর উপজেলা হাসপাতালের ইপিআইর কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, জৈন্তাপুরে আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য উপজেলার চাইতে তুলনা মূলক কম। এছাড়া অনেকেই সিলেট শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন যাহা আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাবে যুক্ত হচ্ছে না।

জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডাক্তার আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, এক বছরের বেশি সময়ে জৈন্তাপুর উপজেলায় যে স্যাম্পল পরিক্ষা হয়েছে জনসংখ্যার তুলনায় যথেষ্ঠ নয়। মানুষেকে আর সচেতন হওয়া উচিৎ এবং আরও বেশি করে পরিক্ষা করার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, এখনও অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি না মেনে উন্মুক্ত চলাফেরা করছে।

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক বলেন, মানুষের মধ্যে জনসচেতনাতা বৃদ্ধি করেত এবং স্বাস্থ্য বিধি পালনের জন্য আমরা কাক ডাকা ভোর হতে যৌথ বাহিনী নিয়ে সার্বক্ষনীক মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু কিছু মানুষ বিষয়টি কর্ণপাত করছে না।