জঙ্গি অভিযানে এখনও বড়হাটের আবু শাহ্ মাদ্রাসা বন্ধ

    0
    276

    “৪ দিন মুসল্লিহীন  ছিল মসজিদ ! এলাকার মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে এখনও”

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১২এপ্রিল,আশরাফ আলী, মৌলভীবাজার থেকে:   বড়হাটের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান “ম্যাক্সিমাস” সফল হওয়ার ১৬দিন পর এখনও বন্ধ রয়েছে বড়হাট আবু শাহ্ দাখিল মাদ্রাসা। এলাকার মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। সন্ধ্যার পর একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসার বাহিরে চলাফেরা করছেন না। মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদটিতে ৪দিন পর্যন্ত কোন মুসল্লি ভয়ে নামাজে আসেননি। আতংক বিরাজ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যেও। অভিযানের সময় বড়হাটের অধিকাংশ লোক বাসা-বাড়ি তালাবদ্ধ রেখে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে চলে যান। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও পারিবারিক প্রয়োজনে আবার বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।

    সরেজমিন বড়হাট আবু শাহ মাঝার সংলগ্ন মসজিদে গেলে ইমাম হাবিবুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ইমামতির বয়সে এরকম মুসল্লি শূন্যতা আর কোন দিন দেখিনি। নিজে আযান দিতে হয়েছে এবং একা একা নামাজ পড়েছি। মসজিদের আশপাশের বাড়িতে যারা ছিলেন তারা অনেকেই বাড়ি থেকে ভয়ে বের হতেননা। শুক্রবারে মসজিদে জুম্মার নামাজ হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে ইমাম বলেন, পুলিশি নিরাপত্তায় কিছু সংখক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করেছি। ওই দিন সব মুসল্লিদের মধ্যে ভয় কাজ করছিল। সিলেটের আতিয়া মহলের মতো নাকি কেউ এসে বোম মেরে চলে যায়।

    বড়হাট জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: আব্দুল গণি’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তারা সে সময় বাড়ি থেকে বের হননি। তখন তারা প্রচন্ড ভয়ের মধ্যে ছিলেন। কারণ জঙ্গি আস্তানার পাশের বাড়িটিই উনার।

    বড়হাট জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী আব্দুল মুনিম বলেন, নিয়মিত নামাজ পড়লেও জঙ্গি অভিযানের সময় ভয়ে বাসা থেকে বাহিরে আসতাম না। বিশেষ করে ওই ৬দিন মসজিদে যাওয়া সম্ভব ছিলনা।

    সানু মিয়া নামের একজন মুসল্লি বলেন, অভিযান চলাকালীন সময় খুব কষ্টে কাঠিয়েছি। সে দিনের কথা মনে হলে গাঁ শিওরে উঠে।

    নিরাপত্তার কারণে মার্চ মাসের ২৮ তারিখ হতে গতকাল পর্যন্ত জঙ্গি আস্তানার পাশের বড়হাট আবু শাহ দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৪শত শিক্ষার্থী ওই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। ক্লাস করতে না পারায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়। মাদ্রাসা সুপার সৈয়দ ইউনুছ আলী বলেন, প্রশাসন অনুমতি না দেয়ার কারণে আমরা এখন পর্যন্ত ক্লাস শুরু করতে পারছিনা। কিন্তু অফিসিয়াল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।

    মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী লিজা আক্তার বলেন , ভয়ে মাদ্রাসায় যেতে সাহস পাচ্ছি না। জঙ্গি আতংকে দিন কাঠছে। মাদ্রাসায় ক্লাস শুরু না হওয়ায় আমরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছি।