এস এম সুলতান খান,চুনারুঘাট থেকেঃ বুধবার (৪ মে ২০২২) চুনারুঘাট উপজেলার রাণীগাও ইউনিয়নের তারাশোল গ্রামের চারাবাগান নামক স্থান থেকে শামীম মিয়া (২০) নামের এক যুবকের বুক ও পেটের মাঝামাঝি স্থানে গভীর জখমে মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে অবহিত করেছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি।
নিহতের বাবা আঃ হক বলেন, গতরাত (৩ মে দিবাগত রাত) ১২টা ১১মিনিটে শামীম তার কালা কাক্কুর বাড়িতে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে যাচ্ছে বলে ফোনে জানায়। কালা মিয়ার সাথে তাদের শত্রুতা রয়েছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি শামীমকে সেখানে যেতে বারণ করেন। তখন তাকে বলেছিল সেখানে আরও লোকজন তার জন্য অপেক্ষা করছে।
এরপর থেকে শামীম আর ফোন রিসিভ করেননি। রাতে শামীমকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুধবার (৪ মে) সকালে চুনারুঘাট থানায় জিডি করতে যান। তখনও পুলিশ ঘুম থেকে না জাগার কারণে ফিরে এসে আনুমানিক ১০টা সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনা স্থলে শামীমের লাশ পান এবং পুলিশকে সংবাদ দেন।
সংবাদ পেয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ আলী আশরাফ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছান।
পরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলির নেতৃত্ব অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আরজত আলী, পিবিআই এর পরিদর্শক মৃণাল দেবনাথসহ পুলিশ, ডিবি ও পিবিআইর একটি দল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে তারা লাশের প্রাথমিক সুরতহাল, আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন আলামত এর ছায়া তদন্ত করেন।
লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত শামীম রানীগাঁও ইউনিয়ন এর উপজেলার পাঁচগাতিয়া গ্রামের আঃ হকের পুত্র। নিহতের বাবা, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যান এই হত্যা কাণ্ডের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান পুলিশ সুপারের কাছে।
পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি বলেন, “তদন্ত সাপেক্ষ অবশ্যই এই হত্যা কাণ্ডে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। হত্যার মূল রহস্য কি, এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছে ? সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো।