চুনারুঘাটে ফুটপাতে মৌসুমী ফল বিক্রির ধুম

    0
    685

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৩মে,শংকর শীল,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় বিভিন্ন ফুটপাতের রাস্তার মোড়ে মৌসুমী ফল বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এদিকে  উপজেলা সদর সহ ছোটবড় বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে রাস্তার পাশে ফুটপাতের মোড়ে মৌসুমী ফল বিক্রেতারা মৌসুমী ফল বিক্রি করেছেন। ১২ মে শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আম, কাঠাল, লিচু, আনারস, আতাফল, ডালিম, জাম, জামরুল, গোলাপজাম ইত্যাদি মৌসুমী ফল বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ভোর ৫ টার থেকে বিভিন্ন স্হান থেকে এসে পাইকারীরা ও গ্রামগঞ্জের থেকে কৃষকেরা পৌরশহরের ঈদগাঁও রোডে এসে হাজির হন। সেখান থেকে পাইকারীরা ও খুচরা বিক্রেতারা এসে এসব ফল সংগ্রহ করে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে নিয়ে যায়।

    এ বেচাকেনা সকাল ১০ পর্যন্ত চলে। তারপর বিকাল ৩ টার দিকে গ্রামগঞ্জের থেকে কৃষকেরা এসে এসব ফল বিক্রি করেন। এদিকে পৌরশহরের ফুটপাতের দোকান গুলোতে বিক্রেতারা প্রতি কেজি আম ১৪০ – ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন, কাঠাল ছোট ৬০-৭০ টাকা, মাঝারি আকারের ১৫০-২০০ টাকা, বড় আকারের ৪শ -৫শত টাকা দরে বিক্রি করছেন, লিচু ১শত পিচ ১৬০-২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন, আনারস ছোট আকারের প্রতি জুড়া ৫০ -৬০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতি জুড়া১০০ -১২০টাকা বড় আকারের প্রতি জুড়া১৮০ -২০০টাকা দরে বিক্রি করছেন, আতাফল প্রতি হালি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন, ডালিম প্রতি হালি ১৫০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন, গোলাপজাম প্রতি হালি ১০ – ১৫ টাকা ও কেজিতে ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

    কিন্তু জামরুল বাজারে কিছুটা কম থাকলেও দাম বেশি তাই অনেকে ক্রয় করতে পারছেন না। পৌরশহরে ফুটপাতে মৌসুমী ফল বিক্রি করতে আসা মোঃ বাবরু মিয়া, মোঃ রাজিব মিয়া,মোঃ আঃ শহিদ, মোঃ আঃ মান্নান, মোঃ জহুর আলী সহ অনেকেই জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ছিল শবেবরাতের রাত। তার মাঝে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার থাকায় লোকজনের উপস্থিতি কম। সে কারণে
    ১২ মে শুক্রবার বেচাকেনা কম ছিলো। আমরা এই মৌসুমীর সময় এলেই ফল বিক্রি করে থাকি। ফল বিক্রি করে মোটামুটি পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো যায়। অনেক সময় এসব ফল পচে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ঘাটতি ও সামলাতে হয়।