চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে পথ শিশুদের নিয়ে ভাবনা

    0
    375

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২ডিসেম্বরঃ    চায়ের দেশ বলতেই আমরা বুঝি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা। সেই সাথে দেশের পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল। বিভাগীয় শহরে বা সিলেটে অনেক গুলো পথ শিশুদের নিয়ে স্কুল চালু আছে, ঠিক সেভাবে প্রত্যেকটি জেলা শহরেও কম-বেশি স্কুল আছে যা সমাজের কিছু সচেতন নাগরিক এগিয়ে এসে পথ শিশুদের জীবনের পথ কতটা উজ্বল-তা দেখাতে পারেন। সরকারের সহায়ক কাজগুলো সমাজের সচেতন ব্যাক্তিগণ সবসময় করে থাকেন। যা অতীতেও ইতিহাস হয়ে রয়েছে ভূরি ভূরি।

    বাংলাদেশের ৭৫ ভাগ পথশিশুই রাজধানীতে বসবাস। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলেও এদের সংখ্যা কম নয় ! এদের জীবনযাপন অত্যন্ত হতাশাগ্রস্থ ও দুর্বিষহ এবং এদের বেশীরভাগই রোগাক্রান্ত। চুরি, মাদক সেবন ও নেশাদ্রব্য বিক্রিসহ নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এদের অনেকেরই সম্পৃক্ততা রয়েছে। নোংরা ও বাসস্থান অযোগ্য পরিবেশে থেকে এদের সকলেই চর্মরোগে আক্রান্ত ।ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করায় এদের দুর্ঘটনাও ঘটে প্রতিনিয়ত ।

    সরকারি পৃষ্টপোষকতা ছাড়া সমাজ পরিবর্তনের জন্য কিছু মানুষ পরোক্ষভাবে নিরবে কাজ করেন, যাদের রাজনৈতিক বা কোন প্রকার স্বার্থ জড়িত নয়, ননপ্রফিট উদ্যোক্তারা সমাজিক সচেতনা থেকে আমরা একবিংশ শতাব্দিতে সামাজিক প্রেক্ষাপটের ডিজিটাল স্বপ্নের পাশাপাশি ছিন্নমূল মানুষের জন্য এগিয়ে এসেছে। শ্রীমঙ্গলে তেমনি ‘‘গ্রীন লিফ সোস্যাল ডেভেলপম্যান্ট এসোসিয়েশন’’ এর উদ্যোগে মজার স্কুল গড়ে ওঠে পথ শিশুদের নিয়ে। যার মূল উদ্যোক্তা তাপস দাশ।

    স্কুলটি প্রথমে চালু করে ২০১২ সালে, গ্রীনলিফ এর আয়োজনে। বছর পাঁচ চলার পর ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় আর্থিক অনটন, জনবলের ও সঠিক নির্দিষ্ঠ স্থানের জন্যে। আবারও নতুন উদ্যামে ২০১৭ সালের অক্টোবর নভেম্ভর মাসে শুরু হয় স্কুলের তৎপরতা, সেই সাথে একদল উদ্যামি সাহসি জনবল। প্রয়োজন শুধু সুস্থ্য ধারার সমমনের মানসিকতার সমাজের সকল শ্রেনির মানুষের সহায়তা।

    পথ শিশুদের শিশু বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা, সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা, ভিক্ষাবৃত্তি পরিহারকল্পে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহনসহ সর্বোপরি এসকল শিশুদের পুনর্বাসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহনই ‘‘গ্রীন লিফ সোস্যাল ডেভেলপম্যান্ট এসোসিয়েশন’ এর মূল লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য ।

    শুধু ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে গ্রুপ করে প্রায় মাস খানেক ধরে আবারও প্রতিদিন পাঠদান দেয়া হচ্ছে মজার স্কুলে। প্রায় ৪০ জনের মতন স্কুলের বর্তমান ছাত্র। নতুন অবস্থায় অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।

    এই ছিন্নমূল শিশুরাও দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের কর্ণধার। তাই পথশিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে যার যার সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এদের অনিশ্চিত ও অন্ধকার জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে এবং সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়ক ভূমিকা পালনই হউক সকলের দৃঢ় অঙ্গীকার ।