আগামী পাঁচ বছরের জন্য গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে আমন্ত্রিত আলোচকেরা এ কথা বলেন।
আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। এ অবস্থায় সরকারের মেয়াদ আছে ১০ মাস। তাই নিরপেক্ষ না হলেও চলবে, তবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। রাষ্ট্রপতিকে মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদিত বক্তৃতা পড়তে হবে। নতুন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সেই সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। অন্যথায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী বলেন, যেকোনো সময়ে গ্রহণযোগ্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ জরুরি। যাঁর কাছে সবার দরজা খোলা থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য বিএনপির সংসদে যাওয়া উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহী বি চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। বরং বিএনপি পরে যাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিল, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশ উইমেন চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিমা আহমেদ বলেন, যারা হরতাল করছে, তারাও অসহিষ্ণু। পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে গুলি করেছে।
মসিউর রহমান বলেন, অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে পুলিশের ওপর দায় চাপানো ঠিক না। ক্ষয়ক্ষতির দায়ও সরকারের ওপর চাপানো যায় না।
দর্শকের কেউ কেউ বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ নিজেদের জীবন বাঁচাতে গুলি ছুড়েছে।
বিবিসি বাংলা ও বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন আয়োজিত এই সংলাপে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন আকবর হোসেন।