গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও স্ব-রাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা

    0
    274

    আমারসিলেট24ডটকম,২০এপ্রিল,এনামূল হক লিটন অপহরণ হওয়ার ১০ ঘন্টা পর মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এলেও স্ব-পরিবার আতংকের মধ্যে রয়েছেন।সাগর, রুনি হত্যা কান্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই চট্টগ্রামে অপহরণকারীদের রোষানালে পড়া চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক  আলোকিত চট্টগ্রাম সম্পাদক এম জামাল উদ্দিন ও আমাদের সংবাদ.কম সম্পাদক  জীবন কৃষ্ণদেবনাথ। চট্্রগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি থাকে সব সময় ঐ স্থান থেকে পত্রিকার সম্পাদক অপহরণের ঘটনা নজীর বিহীন। গত ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ইং সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মুরগী ব্যবসায়ী সংগঠনের সাংবাদিক সম্মেলন হবে সেখানে উপস্থিত থাকতে জীবন কৃষ্ণ দেব নাথের মোবাইলে ফোন করে আমন্ত্রণ জানায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অফিস পিয়ন বিকাশ।জীবন বিকাশের ফোন পেয়ে প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে কিছুক্ষন থাকার পর তাকে হল রুম থেকে ডেকে নেয় দৈনিক পূর্বদেশ এর রেজা ও আরীফ জীবন কে বাহিরে ডেকে এনে প্রেস ক্লাবের ২য় তলায় আটকানোর পর এবার আটকানোর চেষ্টা করে সাপ্তাহিক আলোকিত চট্টগ্রাম এর প্রকাশক সম্পাদক এম জামাল উদ্দিনকে।প্রেস ক্লাবে জীবন নাথকে আটকিয়ে রেখে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে রেজা ও তার ফটোগ্রাফার তখন জীবন বিষয়টি প্রেস ক্লাব কতৃপক্ষকে অবহিত করিলে প্রেস ক্লাব কতৃপক্ষ রেজা সহ তাদের নেমে যেতে বললে নেমে গিয়ে একটি মাইক্রো ভাড়া করে রেজা।জীবন নাথকে অপহরণের পূর্বে সর্ব প্রথম সাপ্তাহিক আলোকিত চট্টগ্রাম পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক এম জামাল উদ্দিনকে টেনে হেচড়ে মাইক্রো বাসে তুলার চেষ্টা করলে সে সন্ত্রাসীদেও হাতে অস্ত্র দেখে চিৎকার দিয়ে পালিয়ে প্রেস ক্লাবে থাকা পুলিশের আশ্রয় নিলেও জীবন কৃষ্ণ দেব নাথ সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে অপহরণের স্বীকার হয়।আমাদের সংবাদ.কম সম্পাদক জীবন কৃষ্ণদেব নাথকে মাইক্রোবাসে তুলে তার চোখে কালো কাপড় পড়িয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কালুরঘাট শিল্প এলাকাস্থ ষ্মাট াজনস নামক গার্মেন্টস প্রতিষ্টানের গোডাউনে।জীবন নাথকে আটকিয়ে রেজা ফোন করেন তার বস মোস্তাফিজকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন জীবন কে মেরে ময়লার টাংকিটে ফেলে রাখতে।রেজার নির্দেশে ১০/১২ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে এসে জীবন কৃষ্ণদেব নাথকে হাত পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে তার পুরো শরীর রক্তাক্ত করেন।জীবন কৃষ্ণ দেবনাথের মোবাইল থেকে সাপ্তাহিক আলোকিত চট্টগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক জামাল উদ্দিনের মুঠোফোনে বারবার ফোন করে তাকে সেখানে যেতে বললে জামাল উদ্দিন তাকে বলেন আমি কি কারানে সেখানে যাবো তিনি বলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা নং২৪/১২ করার পর তারা জামাল উদ্দিনকে ডেকে হত্যা করতে চেয়েছেনকিনা ।জীবন নাথ বলেন চট্টগ্রাম বাড়বকুন্ড এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখল করা সহ বেড়িবাঁধ কেটে শীপ ইয়ার্ড নির্মান সংক্রান্ত ঘটনায় তাকে আটকানো হয়েছে এবং সে সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য মোস্তাফিজ এর লোকজন চট্টগ্রামের কিছু অপসাংবাদিকদের ম্যানেজ করে তাকে আটকিয়েছে।প্রথম আলোর ঘটনা না।সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণদেব নাথ কে আটকের পর সীতাকুন্ড থানায় একটি জিডি করেন ভ’মিদস্যুরা তাকে মারধর করার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোশ্যে জীবনকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ট্রাফিক অফিসের টিআই গোলাম ফারুখের রুমে তিনটি সরকারী খালি ষ্ট্যাম্পে জীবন নাথ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে দৈনিক পূর্বদেশ এর রেজা,তুষার দেব সহ ১০/১২ জন।জীবন নাথ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ট্রাফিক শাখায় আটক থাকা অবস্থায় জীবন নাথ এর স্ত্রী শর্মিলার দায়ের করা চট্টগ্রাম মহানগর ইপিজেড মডেল থানার সাধারণ ডায়েরী নং ৭৬৮,তারিখ:১৯/৪/২০১৪ইং মূলে থানার এসআই আলমগীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ট্রাফিক শাখায় আটক জীবন কৃষ্ণদেব নাথকে উদ্ধার করে।জীবন কৃষ্ণ দেব নাথকে আটকের পর তিনটি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষও নেয়া ষ্ট্যাম্পগুলো তাৎক্ষণিক পুর্বদেশ অফিস ষ্ট্যাফ রেজা থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে ইপিজেড থানার এসআই আলমগীর মোবাইল নং০১৯১১৮১৬০৯১ নাম্বার এ যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনাটি তদন্ত চলছে মামলা হতে পারে।জীবন কৃষ্ণদেব নাথ এর স্ত্রী শর্মিলার মোবাইল নাম্বার ০১৮৩৫৮০৬৫৯২ থেকে তিনি বলেন অপহরণকারীরা মামলা না করতে তাদের ভয় দেখাচ্ছে।

     

    জীবন কৃষ্ণদেব নাথ এর ভাষ্য:

    জীবন কৃষ্ণদেব নাথ বলেন অপহরণ হয় শুনেছি তাহা জীবনে কোন দিন দেখিনী। তিনি অপরহন হওয়ার পর বিশ্বাস হয়েছে সাংবাদিক নামদারীদের ইন্ধনে জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ ব্যুরো প্রধান, “দৈনিক প্রভাত” সম্পাদক-দৈনিক আমাদের সংবাদ সম্পাদককে অপহরণ করে প্রমান করলো বাংলাদেশে এ যাবৎ যতজন সাংবাদিক অপহরণ হয়েছে এর সাথে অসাধু সাংবাদিককেদের হাত রয়েছে।তিনি আরো বলেন সংবাদ প্রেরকদের মাধ্যমে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জন্য আমার পত্রিকার ই-মেইলে সংবাদ এসে থাকে। এমন একটি সংবাদ কে বা কাহারা আমার ই-মেইলে প্রেরণ করেন। যাহা তথ্য যাচাইয়ের জন্য সংবাদে অভিযুক্ত মুঠো ফোনে ফোন করি। তিনি আমাকে কোন ধরনের তথ্য না দিয়ে উল্টো আমার হাত পা কেটে হত্যার হুমকী দিলে তাহা আমি এড়িয়ে যাই। ঐ ব্যক্তির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ০১৮৩৮৫২৩০৯৯ নম্বারে ফোন করে গ্রেফতারের ভয় লাগাতো, সাংবাদিক পরিচয় দান কারী আরিফ, জামাত সমর্থিত পত্রিকা “দৈনিক নয়াদিগন্ত” সংবাদিক ওমর ফারুক, পূর্ব দেশের জিয়া। যাক আমি তাহাদের মাধ্যমে অপহরণ হবো সে কথা বিশ্বাস না করলেও অপহরণ হওয়ার পর বিশ্বাস করেছি। আমি জীবন কৃষ্ণ নাথ যে ভাবে অপরহণ এর স্বীকার হয়েছি। গত ১৯/০৪/২০১৪ইং তারিখে সকাল ১১.০০ঘটিকায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাংবাদিক সম্মেলন পাইকারী মুগরী ব্যবসায়ি লিঃ এ যোগদান করিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অফিস পিয়ন বিকাশ জীবন কৃষ্ণ দেব নাথ কে ফোনে ফোন করে বলেন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য তাৎক্ষণিক ফোন পেয়ে উপস্থিত হবার কিছুক্ষণ পর প্রেস ক্লাবের সামনে দেখতে পাই পূর্বদেশ পত্রিকার জিয়ার সাথে বেশ কয়েক জন ক্যামেরামেন ও কিছু সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা সর্ব প্রথম টার্গেট করে আওয়ামীলীগ সমর্থিত পত্রিকা আলোকিত চট্টগ্রাম এর প্রকাশক সম্পাদক এম. জামাল উদ্দিন কে তিনি সন্ত্রাসী দের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পরিনত হয় জীবন কৃষ্ণ দেব নাথ তাকে টানা হেচরা করে প্রেস ক্লাবের ২য় তলায় সাংবাদিক ইউনিয়নের ১টি রুমে আটক করে ছবি তোলেন জিয়া সহ কয়েক জন। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাব সাংবাদিকরা এই ঘটনা দেখে জিয়া কে প্রেস ক্লাব থেকে চলে যেতে বলে । অবশেষে প্রেস ক্লাব থেকে জীবন কৃষ্ণ দেব নাথ কে মারধর করতে করতে একটি মাইক্রোতে তোলে কালুর ঘাট শিল্প এলাকা স্মাট জিনস এর একটি রুমে আটকিয়ে রেখে সন্ত্রাসী দ্বারা ব্যপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। ১০ ঘন্টা নির্যাতনের পর জীবন কৃষ্ণ দেব নাথকে চোখে কালো কাপড় পড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় তাৎক্ষণিক জীবন কৃষ্ণ দেব নাথের মোবাইল ফোনে ফোন করেন চট্টগ্রাম ইপিজেড থানার ওসি আবুল মুনচুর তিনি আটকের স্থান সম্পর্কে জানতে চান তখন জীবন কৃষ্ণ দেব নাথ বলেন তাকে এখন পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ট্রাফিকের টিআই গোলাম ফারুক এর রুমে রাখা হয়েছে। ইপিজেড থানার পুলিশ জীবন কৃষ্ণ দেব নাথ এর স্ত্রী শর্মিলার দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি নং- ৭৬৮, তারিখ-১৯/০৪/২০১৪ইং মূলে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জীবন কৃষ্ণ দেব নাথ কে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ট্রাফিক শাখার গোলাম ফারুকের রুম থেকে উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঐ রুমে বসে থাকা দৈনিক পূর্বদেশ এর  জিয়ার নিকট থেকে ৩টি স্বাক্ষরিত খালি স্টাম্প উদ্বার করে জীবন কৃষ্ণ দেব নাথ কে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন পুলিশ। উক্ত বিষয়ে একটি অপহরণ মামলা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। এখানে উল্লেখ কিছু অসৎ সাংবাদিক ভূমি দস্যু ও সমাজের কালো টাকার মালিকদের পক্ষ নিয়ে পেশাদার পত্রিকার সম্পাদক বা সাংবাদিকদের অপহরণ করা যাহা সংবাদপত্র বিরোধী কর্মকান্ড। অপহরণকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার পূর্বক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন  সচেতন সাংবাদিক মহল। এই সময় সন্ত্রাসীরা জীবন কৃষ্ণ দেব নাথের পকেট থেকে ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি।