খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট সিসিইউতে ভর্তি, পরিবার চায় বিদেশে নিতে

0
705
খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট সিসিইউতে ভর্তি, পরিবার চায় বিদেশে নিতে
খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট সিসিইউতে ভর্তি, পরিবার চায় বিদেশে নিতে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার (৩মে) চিকিৎসক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন এর বরাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান খালেদা জিয়ার ফুসফুসে পানি জমেছে। সোমবার বেলা তিনটার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।এর আগে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডক্টর জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামকে সিসিউতে নেওয়া হয়েছে,তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত জানানো হবে। জানা যায় গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয় এসময় তার বাসভবনে আরও ৮জন ব্যক্তিগত সহকারী করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরপর থেকে গুলশানের বাসায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়,১৪ দিন পর আবারও পরীক্ষা করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে।
এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।তার চিকিৎসার জন্য গঠিত ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড এর নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন তালুকদার।
অপরদিকে বিএনপির একটি সূত্র থেকে জানা যায়, খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা চান তার চিকিৎসা সিঙ্গাপুর অথবা বিদেশের কোথাও হোক। তারা এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অনুরোধ করেছেন,অনুরোধের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন
বিএনপি মহাসচিব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান এবং তাকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে পরিবারের চাহিদার কথা তুলে ধরেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিএনপি মহাসচিবকে জানিয়েছেন যে বিষয়টি সরকারের নয় আদালতের এখতিয়ার তিনি এ ব্যাপারে আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে তবে তিনি বর্তমানে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।