কানাইঘাট পৌরসভার কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

    0
    246

    আমারসিলেট24ডটকম,১০ফেব্রুয়ারী,বদরুল কানাইঘাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিএনপি নেতা শরিফুল হক কর্তৃক বাড়ির কাজের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ পরবর্তী গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে কানাইঘাট থানায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে এলাকায় পরষ্পর বিরোধী খবর পাওয়া গেছে।মামলার বাদী পৌরসভার গৌরীপুর গ্রামের দরিদ্র ফারুক মিয়ার মেয়ে রিবিন বেগম (১৭) তার অভিযোগে উল্লেখ করেছে গত ১৩ বছর ধরে একই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের পুত্র শরিফুল হকের বাড়ীতে সে ঝি এর কাজ করে আসছিল। এই সুযোগে গত ৫/৭/২০১৩ইং তারিখে কাউন্সিলার শরিফুল হক তাকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে শরিফুল হক তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে রিবিন বেগমকে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে কয়েকবার দৈহিক মেলামেশা করেন। এতে রিবিন বেগম অন্তঃসত্তা হইয়া পড়িলে শরিফুল হক তার ৭ মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য মামলার ২নং আসামী বদিকোনা গ্রামের আব্দুল কাইয়ূম (৫৫)এর সহায়তায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে বৈঠক হলেও শরিফুল হক রিবিন বেগম বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।

    এ ঘটনায় গত ৫ ফেব্রুয়ারী অন্তঃসত্তা রিবিন, কাউন্সিলারসহ ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারায় অভিযোগটি রেকর্ড করে। থানার মামলা নং (৬) তারিখ ০৫/০২/১৪ইং। এ ব্যাপারে কাউন্সিলার শরিফুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নাবালিকা রিবিন বেগম কর্তৃক তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষন মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক দাবী করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানী ও সামাজিকভাবে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। রিবিন বেগমের পরিবার তার প্রতিবেশি উল্লেখ করে বলেন এক সময় সে তার বাড়ীতে মাঝে মধ্যে পারিবারিক কাজ করত। দেড় বছর ধরে সে কখনো কাজ করার জন্য তার বাড়ীতে যায় নি। অন্যের দোষ তার ঘাড়ে চাপানোর জন্য চেষ্টা চলছে। তিনি বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবেলা করবে বলে জানান। অপরদিকে ভিকটিম রিবিন বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তার গর্ভের সন্তানটি শরিফুল হকের। তিনি আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এমন সর্বনাশ করেছেন।