করোনা আপডেটঃদেশে নতুন শনাক্ত ৫৬৪,মৃত্যু-৫ জনের

    0
    227

    জহিরুল ইসলাম.নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে  গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ৫৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

     এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৬২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের। এছাড়া দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা  মোট দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৬৭ জনে।

    বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

    তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৬২৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে চার হাজার ৯৬৫টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৬৬টি।

    নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৫৬৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৬৬৭ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৮ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন।

    নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং দুজন নারী। দুজন ষাটোর্ধ্ব এবং তিনজন চল্লিশোর্ধ্ব   বয়স।

    করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।

    চার মাস আগে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ক্রমে গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা সোয়া ৩২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সোয়া দুই লাখ। তবে প্রায় ১০ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

    প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। যদিও এরই মধ্যে সীমিত পরিসরে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার কিছু পোশাক কারখানা সীমিত পরিসরে খুলতে শুরু করেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

    গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।