করোনার প্রভাবে মৌলভীবাজারে আগর ও আতর শিল্পে ৫০কোটি টাকার লোকসান

0
1313
করোনার প্রভাবে মৌলভীবাজারে আগর ও আতর শিল্পে ৫০কোটি টাকার লোকসান
করোনার প্রভাবে মৌলভীবাজারে আগর ও আতর শিল্পে ৫০কোটি টাকার লোকসান

আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজার: সারা পৃথবিী ব্যাপী করোনা মহামারিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই করোনার ঝুঁকিতে জন নিরাপত্তার সার্থে চলছে লকডাউন ফলে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো আঘাত লেগেছে আগর ও আতর শিল্পে। গত ৫মাস যাবত উৎপাদন বন্ধ মৌলভীবাজার জেলার তিন শতাধিক কারখানায়। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন আগর-আতর কারিগররা। উৎপাদন চালু রাখতে সহজ শর্তে ঋন প্রদান ও রফতানি জটিলতা সহজ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এর সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুজানগর গ্রামের ৮০ভাগ বাড়ীর যেখানে দেখা যেতো সুগন্ধি আগর-আতর তৈরির ব্যস্থতা। করোনা আসার পর থেকে উৎপাদন বন্ধ জেলার ৯০ভাগ কারখানায়। এতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

শ্রমিকরা বলছেন আগর-আতর কারখানায় যতদিন কাজ করবো তথদিন টাকা পাবো,কিন্তু এই করোনা মহামারিতে আমরা অনেক বিপদে আছি । আগর-আতরের কাজ ছাড়া আমরা অন্য কোন কাজ শিখিনি। কষ্ট করে কোন মতে রোজা রেখেছি ,কিন্তু সামনে একটা ঈদ, হাতে টাকা পয়সা নেই ছেলে মেয়েদের ঈদে জামা কাপর কি দিয়ে কিনে দিবো?
ব্যবসায়ীরা জানান করোনায় বিশ্ববাজারে আগর-আতরের চাহিদা কম অন্যদিকে রপ্তানি সমস্যা দীর্ঘ দিনের৷ ফলে হাজার হাজার কেজি আগরের কাঁচামাল গুদামে মজুদ হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ আগর অ্যান্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কবির আহমদ চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে বলেন বিগত ৫ মাসে এই শিল্পে লোকসান প্রায় ৫০কোটি টাকার অধিক। আগর শিল্পকে ঠিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগীতা দ্রুত প্রয়োজন।

আগর শিল্পখাতে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদান ও প্রনোদনাসহ সরকারি উদ্যোগের কথা জানালেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান,।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও গ্রামীণ জনপদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের এই মাধ্যম সরকারের সহায়তায় আবারো ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।