শাব্বির এলাহী,কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্বামীকে হত্যা করে দুই সন্তানের জননী অষ্টমী বাউরী(৩৫)। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই ২০২১) ভোরে উপজেলার ফুলবাড়ি চা বাগানের একই ঘরে প্রেমিক সেলিম মিয়া (৩০) ও অষ্টমী বাউরীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এ সময় অষ্টমীর স্বামী বিজয় বাউরীকে (৪০) অচেতন অবস্থায় মেঝেতে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে চা বাগানের ডাক্তারকে খবর দিলে ডাক্তার সকাল ৬ টায় এসে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ নিহত বিজয় বাউরীর লাশ উদ্ধার করেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, একই বাগানের চাঁন মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া অষ্টমী বাউরীর সাথে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই ঘরে প্রবেশ করে সেলিম মিয়া। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মনুরঞ্জন পালকে অবহিত করে। পরে চা বাগানের লোকজন ঘর থেকে অষ্টমী বাউরি ও সেলিমকে আপক্তিকর অবস্থায় আটক করে।
লাশ ঘরে রেখে আটক প্রেমিক যুগলদের আটকে রেখে কমলগঞ্জ থানায় খবর দেন। কমলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল সকাল সাড়ে ৮টায় লাশ উদ্ধার ও প্রেমিক যুগলকে আটক করে। পুলিশ সুরতাল রিপোর্ট তৈরির সময় লাশের পাশ থেকে ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের ধারনা, স্ত্রী রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের বড়ি খাওয়ানোর কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। নিহতের মা যমুনা বাউরী জানান, ১০ বছর আগে তার ছেলের সাথে জুড়ি উপজেলার সোনারূপা চা বাগানের মতি বাউরীর মেয়ে অষ্টমি বাউরী (২৮) এর সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়েছিল। তাদের সংসারে রূপালী (৭) ও লাভনী বাউরী (৪) বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার ছেলেকে স্ত্রী ও প্রেমিক সেলিম মিয়া হত্যা করেছে। তিনি ছেলের হত্যার বিচার দাবি করেন। ফুলবাড়ী বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মনুরঞ্জন পাল বলেন, এর পূর্বে সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগে একাধিক সালিশ বৈঠকে ক্ষমা চেয়ে পার পেলেও তার চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুজনকে আটক করা হয়েছে।