কমলগঞ্জের টিউবওয়েল শ্রমিক শাহীন আলম বাচঁতে চায়

0
876
কমলগঞ্জের টিউবওয়েল শ্রমিক শাহীন আলম বাচঁতে চায়
কমলগঞ্জের টিউবওয়েল শ্রমিক শাহীন আলম বাচঁতে চায়

“মারাক্তক অসুস্থ শাহীন আলমের বড় ভাই ও কিছু দিন আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দ্রুত ভালো চিকিৎসা না করাতে পারলে শাহীনকেও বাঁচানো সম্ভব নয়”

শাব্বির এলাহী,কমলগঞ্জঃ কাজ করতে গিয়ে গুরুতর আহত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার হত দরিদ্র টিউবওয়েল শ্রমিক শাহীন আলম সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়।

সরেজমিনে জানা যায়,আদমপুর ইউনিয়নের আদকানী গ্রামের মৃত বাজিদ মিয়ার পুত্র শাহীন আলম, ফুটফুটে এক কন্যা শিশুর পিতা। টানাটানির সংসারে ডিপ টিউবওয়েল শ্রমিকের কাজ করে বিধবা মা আর স্ত্রী সন্তানদের ভরণপোষণ করেন। এ বছর ১০ রমজানে বড়লেখায় কাজ করা অবস্থায় এক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে এখন পর্যন্ত বিছানায় পড়ে আছে। আজও জ্ঞান ফিরে নি। কথাও বলতে পারে না। দুর্ঘটনার পরপর সহকর্মী শ্রমিক ও ঠিকাদার শাহীন আলমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। ডাক্তার অনেক টেস্ট ও ঔষধ পথ্য লিখে দিয়েছেন।
কিন্তু দিশেহারা মা এতো ঝক্কি ঝামেলা সামলাতে না পেরে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ১ তফাদার রিজুয়ানা ইয়াসমিন সুমি ও উনার স্বামী সাবেক আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির আহমেদ ভূঁইয়া পারিবারিক ভাবে এ অসহায় মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর জন্য সাধ্যমতো সহায়তা করেছেন। তারা দাতব্য সংগঠন আল আমানা ফাউন্ডেশন ইউ কের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে সহায়তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাদের অবস্থা দেখে চোখের পানি আটকানো দায়।

মারাক্তক অসুস্থ শাহীন আলমের বড় ভাই কিছু দিন আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দ্রুত ভালো চিকিৎসা না করাতে পারলে শাহীনকে বাঁচানো সম্ভব নয়। শক্ত খাবার খেতে না পারায় ভাতের বিকল্প হিসেবে অনেক দামী একটি দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার। সব মিলিয়ে অনেক টাকা দরকার। আমরা একটু বিলাসিতা, একটু অপচয়, অপব্যয় কমিয়ে যদি একটু একটু করে সহায়তা করতে পারি। হয়তো শাহীন ফিরে পেতে পারে তার স্বাভাবিক জীবন, তার বিধবা মা,অভাগা স্ত্রী আর ফুটফুটে দুধের শিশুর মুখে হাসি ফুটাতে পারি।