ঐতিহাসিক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানটি নজরুলের কবিতা থেকে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু

    0
    426
    ঐতিহাসিক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানটি নজরুলের কবিতা থেকে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু
    ঐতিহাসিক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানটি নজরুলের কবিতা থেকে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু

    কুমিল্লা, ২০ এপ্রিল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান নজরুলের কবিতা থেকে নিয়েছেন। আজ শনিবার সকালে কুমিল্লায় নজরুল ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথ বলেন। তিনি বলেন, এ ইনস্টিটিউট বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিময় দিনগুলোর স্বাক্ষর বহন করছে। এ উপলক্ষে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে ভাষণদানকালে তিনি নতুন প্রজন্মকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য কর্মের প্রতি উৎসাহী করে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও গবেষণার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নজরুল সর্বদাই সাম্য ও নারী নবজাগরণের কথা বলতেন।
    সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সদর আসনের সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিন বাহার, নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইমেরিটাস রফিকুল ইসলাম, সংস্কৃতি সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, কবির নাতনী খিলখিল কাজী, ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক রশীদ হায়দার ও জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল আহসান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন লিনা তাপসী খান, খায়রুল আনাম শাকিল ও স্থানীয় শিল্পীরা। সীমা ইসলাম কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করে শোনান।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবির স্মৃতি সংরক্ষণে ১৯৯৬ সালে তার সরকার কুমিল্লার নজরুল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য ওই উদ্যোগ বাতিল করে দেয়। তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটকে সুরক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
    সফরকালে প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন ও কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমী ভবন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে কুমিল্লা শহরের ধর্মপুরে ১০০০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি ও চৌদ্দগ্রামে একটি খাদ্য গুদাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, তিতাস উপজেলার ৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুতকেন্দ্র।
    এছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা হাসপাতাল ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম তোরণ, ফেঞ্চুগঞ্জ-বিবিয়ানা-কুমিল্লা (উত্তর) ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন, চান্দিনা-ইলিয়টগঞ্জ-কৃষ্ণপুর সড়ক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের একাডেমিক কাম এক্সামিনেশন হলের নির্মাণ কাজও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
    এর আগে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রে কূপ খননের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারও আগে হেলিকপ্টারে করে শনিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় পৌঁছান। এরপর ১০টার দিকে কূপ খনন ও দেড় কিলোমিটার আন্তঃসংযোগ পাইপলাইনে গ্যাস সঞ্চালনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।