এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী বাল্লা স্থলবন্দর

    0
    309

    “অনলাইনে বন্ধর নিয়ে জনতার মুখোমুখি চেয়াম্যান হুমায়ুন কবির খাঁন ও ব্যবসায়ী সিরাজুল হক সিরাজ,বন্ধরের পক্ষে বিভিন্ন জনের মতামত”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯ডিসেম্বর,এম এস জিলানী আখনজী, চুনারুঘাটঃ  হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার স্থল বন্দরটির চিত্র পাল্টানো হলে, সারা বাংলার মাঝে খ্যাতিমান কর্মস্থলের স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বাল্লা স্থল বন্দর। এরই পাশাপাশি জমজমাট ভাবে চলবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো, যেখানে সব সময় থাকবে নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।

    এলাকাবাসীর একটাই প্রাণের দাবী বাল্লা স্থলবন্দর। ইদানিং অনলাইনে বন্ধর নিয়ে দেখা যাচ্ছে, সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খাঁন ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী সিরাজুল হক সিরাজকে এ বন্ধর নিয়ে প্রজেটিভ কথাবার্তা বলছেন।

    এ বন্দর নিয়ে মতামত ব্যখ্যা করেন অনেকেই। দীর্ঘ ৬৫ বছর পর আধুনিকায়ন হতে যাচ্ছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত বাল্লা স্থল বন্দর। বারবার পরিদর্শন আর অনিশ্চয়তার পর অবশেষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বাল্লাকে স্থল বন্দর ঘোষনা করেন চলতি বছরের ৩০ই মার্চ। তিনি এক সপ্তাহের মাঝেই গেজেট প্রকাশ করার পর কাজ শুরু করা হবে বলেও ঘোষনা দিয়েছিলেন যা স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকা সমূহে প্রকাশিত হয়েছিল।

    এই ঘোষনায় চুনারুঘাটবাসী তথা হবিগঞ্জ জেলার মানুষগন আনন্দে আত্বহারা হয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। এরই সাথে সাথে মনে একটি আশা বেধেঁ অপেক্ষায় রয়েছেন অনেক ব্যকার যুুবক ও ব্যবসায়ীরা। এর আগে ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাল্লা স্থল বন্দর আধুনিকায়নের বিষয়টি অনুমোদন করেন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় শ্রমিকরা মাথায় বোঝা নিয়ে পায়ে হেটে নদী পার হয়ে চলছে আমদানী রফতানীর কাজ। যা বর্তমানেও পূর্বের চিত্রই দেখা যাচ্ছে। হবিগঞ্জ সীমান্তের বাল্লা স্থলবন্দরটি ১৯৫১ সালে ৪.৩৭ একর জমির উপর প্রতিষ্টিত হয়।

    এ ব্যাপারে নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খাঁন বলেন, ১৯৫১ সন থেকে বাল্লা আন্তর্জাতিক বন্দরের কাজ শুরু হয় । তারপর থেকে দীর্ঘ দিন বন্দরের কাজ বন্দ থাকে । ১৯৯৬ সনে আবার বন্দরের প্রতিষ্টাতা (আমদানি-রপ্তানি) কারক বিশিষ্ট ব্যবসায়ি হাজী সিরাজুল হকের উদ্বোগে আবার কার্যক্রম শুরু হয় । তখনকার সময়ে হাজী সিরাজুল হকের নেতৃত্বে ১২ জনের কমিটি ঘোষনা করা হয় এবং ১২ জনের সম্মতিতে হুমায়ন কবির খান কে সভাপতি ঘোষনা করা হয় । তখন সেই কমিটির আন্ডারে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদ ভারতে আদা দিয়ে বাল্লা স্থল বন্দর আবার উদ্বোধন করেন ।

    আজ তাদের অবদানে বন্দর দিয়ে বিভিন্ন পন্য আমদানি-রপ্তানি হয় । অসংখ্য  শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তিনি বলেন, তখন সময়ে আমি দ্বারনা করলাম এ বন্দরটি চালু করা খুবই জরুরী।
    বন্দরের প্রতিষ্ঠাতা আমদানি-রফতানি কারক হাজ্বী সিরাজুল ইসলাম বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারকে স্বাধুবাদ জানিয়ে স্থল বন্দর প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে যে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে আশাকরি তা সফলতার সাথে অচিরেই এগিয়ে যাবে। ৩/১২/১৬ইং গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আমিনুল রব চৌধুরী স্থল বন্দর পরিদর্শনে এসেছিলেন, এতে করে বুঝা যায় স্থল বন্দরের অবকাঠামো অগ্রগতির দিকে রয়েছে।

    এর ফলে এ স্থল বন্দর দিয়ে বিভিন্ন অ লের লোক জনের সমাগম হবে ও ব্যবসায়ীগন এতে উপকিত হবেন।
    মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নূর বলেন, আমাদের এলাকা অনেক পূর্বে থেকেই এ এক্সপোর্ট-ইনপোর্ট ছিল। সে আমল থেকেই এ রাস্তাটি রেকর্ড করা হয়েছিল ইনপোর্ট-এক্সপোর্টের। এ এলাকাটি হতদরিদ্র, এলাকাটিতে নেই কোন মেইল, ফেকটরী ও কর্মস্থলের যায়গা। ঐ এলাকার যুবক ও ছেলেরা বেকারত্ব জীবন যাপন করছে। ঐ সমস্ত ছেলেরা বেকারত্বের কারনে কেও চুরি করবে নয়তবা কেও মাদক ব্যবসায় জরিত হয় পয়সার অভাবে। ঐ সমস্ত লোকদের অনেক সময় ধরলেও তারা বলে আমরা পেটের দায়ে কাজ করি। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিনিতভাবে অনুরুধ করে বলেন, এ এলাকায় যদি এক্সপোর্ট-ইনপোর্টের স্থল বন্দরটি থাকে তাহলে আমাদের যুবক ছেলেরা ভাত, মাছ ও ডাল ক্ষেয়ে জীবন যাপন করতে পারবে।

    সাবেক ছাত্রলীগনেতা ইমন চৌধুরী বলেন, যত দ্রুতভাবে বাল্লা স্থল বন্দরের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে তথ দ্রুতই এ এলাকার উন্নয়ন ঘটবে।

    গাজীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান তালুকদার বলেন, এ স্থলবন্দরটি হলে অনেক শিক্ষীত ব্যকার ছেলেদের কর্মস্থলের প্রধানতম কেন্দ্র হবে বলে তিনি মনে করেন।

    এ স্থান দিয়ে বর্তমানে দু’দেশের মাঝে ব্যবসা বানিজ্য চলে আসছে। এখানে রয়েছে একটি চেকপোষ্ট সহ সীমান্ত ঘাটি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সম্ভাবনাময় এ স্থল বন্দরটি বিগত ১৯৯৬ সালে পুনরায় চালু হওয়ার পর এ বন্দর দিয়ে উপরোক্ত কমিটির প্রধানদের দ্বারা আদা, সিমেন্ট, ইট-পাথর, মাছ নানা পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ।

    বিনিময়ে ভারত থেকে বিভিন্ন কাঁচামাল, কমলা, ফলমুল, বাঁশ, চকলেট, ক্যান্ডি ইত্যাদি পণ্য আমদানি হয়েছিল তখনকার সময়, বর্তমানেও তা রপ্তানি-আমদানি হচ্ছে। এছাড়া এ বন্দর দিয়ে লোকজনও বৈধভাবে পারাপার হচ্ছেন।