এনডিএফ নামে জোট গঠনেঃএনডিএফ-এর প্রতিবাদ

    0
    219

    আমারসিলেট24ডটকম,০১জানুয়ারীঃ  প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর এনডিএফ নামে জোট গঠনের প্রয়াস প্রতিহত করার ঘোষণা সম্প্রতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, আসম রবের জাসদ জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ  নাম ব্যবহার করে জোট গঠনের প্রতিবাদে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ এর দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। ৩১ ডিসম্বের বিকেল ৫ টায় এনডিএফ জেলা কার্যালয়ে অনুষ্টিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির অন্যতম নেতা ডা. অবনী শর্মা। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন এনডিএফ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক সোহেল আহমেদ, এনডিএফ কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সদস্য মৃগেন চক্রবর্তী, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫ এর অন্যতম নেতা বিপুল কান্ত দাশ, রিকশা শ্রমিক সংঘ জেলা কমিটির সদস্য কিছমত মিয়া, হোটেল শ্রমিক নেতা রাজু আহসান  প্রমূখ। রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূতভাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ এর নামে নতুন জোট ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন  বৃটিশ আমল, পাকিস্তান আমল ও বাংলাদেশ আমলে সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ বিরোধী লড়াই-সংগ্রামের ধারাতে অগ্রসর প্রগতিশীল ব্যক্তিত্বদের উদ্যোগে  ছাত্র, শ্রমিক, কৃষকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন যথাক্রমে জাতীয় ছাত্রদল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি সমন্বয়ে ১৯৮৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ গঠিত হয়। যার প্রতিষ্ঠাতালগ্ন হতে সভাপতির দাযিত্ব পালন করছেন ডাঃ এম এ করিম ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রয়াত প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শ্রমিকনেতা প্রতাপউদ্দিন আহম্মেদ। বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ডা. এম জাহাঙ্গীর হোসাইন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ সামরাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সামরাজ্যবাদের দালাল দলগুলো ক্ষমতা ও গদি নিয়ে কামড়াকামড়িতে লিপ্ত হয়ে শ্রমিক কৃষক মেহনতি জনগণের জীবনকে দুঃসহ-দুর্বিষহ করে তোলে যখন একপক্ষ যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চাচ্ছে এবং অপর পক্ষ ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । বামনামধারী সংশোধনবাদীদের একাংশ ১৪ দলীয় জোট ও সরকারের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। আবার সংশোধনবাদীদের অপরাংশ সিপিবি, ট্রটস্কিবাদী  বাসদ দালালদের কামড়াকামড়ির ঘটকালিতে নামলেও সরকারের বাইরে থেকেও আওয়ামী লীগের মূল শ্লোগানের সাথে একমত থেকে কার্যত ধারাবাহিক লেজুড়বৃত্তি করে চলেছে। সে রকম সময়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ও নির্বাচনের অসারতা তুলে ধরে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত নয়, একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাই সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি’-এই শ্লোগানকে সামনে জনগণ ও জাতীয় জীবনের জরুরী দাবি-দাওয়া নিয়ে দূর্বার আন্দোলন-সংগ্রামের ডাক দিয়ে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে সামনে এসেছে।

    তখন সামরাজ্যবাদের দালাল প্রতিক্রিয়াশীল কয়েকটি  দল প্রভূর পরিকল্পনায় জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ নাম ব্যবহার করে জোট গঠন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত হয়। এর আগেও প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভূইয়াকে দিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ নাম ব্যবহার করার ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চালানো হয়। সে দিনের সেই অপচেষ্ঠা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা প্রতিহত করেছিল। তাই অবিলম্বে নতুন জোটের উদ্যোক্তারা যদি জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ নাম ব্যবহার করা বাদ না দেন তাহলে দেশের ছাত্র শ্রমিক কৃষক জনতাকে নিয়ে সামরাজ্যবাদের দালাল প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর এই অপপ্রয়াস প্রতিহত করা হবে বলে বক্তারা ঘোষণা দেন।