আলোচিত সাবেক সাংসদ জয়নাল হাজারীর ইন্তেকাল

0
509
আলোচিত সাবেক সাংসদ জয়নাল হাজারীর ইন্তেকাল

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ফেনী-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও দৈনিক হাজারিকা প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক জয়নাল আবেদীন হাজারী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার ২৭ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

হাসপাতালটির গণসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের এ খোদা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ কিডনি হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায়, প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অপর এক শোকবার্তায় মন্ত্রী প্রয়াত জয়নাল আবেদীন হাজারীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

ফেনী-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। নিজের ফেসবুক পেইজে শোক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট প্রার্থনা করি, মহান রাব্বুল আলামীন উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন, আমিন।’

জয়নাল হাজারী ১৯৪৫ সালের ২৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। সাবেক সংসদ সদস্য ও আলোচিত এই রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

২০০১ সালের ১৬ আগস্ট রাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জয়নাল হাজারীর বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। তিনি তখন পালিয়ে ভারতে চলে যান। ২০০৪ সালে হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পদ পান তিনি।