আজ ৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস নানা আয়োজনে পালিত

    0
    418

    শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ  আজ ৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা মুক্ত দিবস পালিত।এই দিনে দেশ মাতৃকার মুক্তির টানে বাংলার দামাল ছেলেরা জীবন বাজি রেখে সারা বাংলাদেশের ন্যায় বর্বর পাকিস্তানী বাহিনীকে প্রতিরোধ করে শ্রীমঙ্গল থেকে বিতারিত করে হানাদার মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। শত্রু মুক্ত করে স্বাধীন বাংলায় লাল সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিকামী সোনার বাংলার সোনার ছেলেরা। হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে উৎসব মুখর পরিবেশে র‌্যালী,আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। এতে স্থানীয় প্রশাসন মুক্তিজদ্ধাগনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,ধর্মীয় ও সংবাদ কর্মিরা অংশ গ্রহন করেন।

    উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর এর এই দিনে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল মুক্ত হয়েছিল।এই দিনে মুক্তিকামী লড়াকু মুক্তিযোদ্বারা মরণপন লড়াই করে হানাদার বাহিনীকে শ্রীমঙ্গল থেকে হটিয়ে শত্রুমুক্ত করে। এই যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করে নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্বা।

    ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমনের মুখে শ্রীমঙ্গল শহর ছেড়ে পালিয়েছিল পাক হানাদার বাহিনী।এই মুক্তির স্বাদ নিতে গিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে চা বাগান ঘেরা এই জনপদের মানুষকে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর তৎকালীন সংসদ সদস্য আলতাফুর রহমান, কমান্ডার মানিক চৌধুরী ও ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। ২৩ মার্চ শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সামনে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ৬ ডিসেম্বর শহরের ভানুগাছ সড়ক দিয়ে আবারও পৌরসভা চত্বরে প্রবেশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেন তারা।

    শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫টি বধ্যভূমির মধ্যে অন্যতম এই ভাড়াউড়া বধ্যভূমিতে ১৯৯৭ সালে একটি স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা হয়।সচেতন মহলের দাবী বধ্যভূমি গুলোকে সনাক্ত করে সীমানা তৈরি করে পবিত্রতা রক্ষা করা সময়ের দাবী। কেননা ঐ স্থান গুলোতে যুদ্ধের সময়ে শত শত নিরীহ মানুষদের হত্যা করে ফেলে রাখা হতো। সুতরাং শহীদের সম্মান রক্ষার্থে এর পবিত্রতা জরুরী বলে সাধারণ মানুষ মনে করে।বিস্তারিত আসছে…।