আজ নবীগঞ্জের ১৩ ইউনিয়নে ভোট, সকল প্রস্ততি সম্পন্ন

0
493
আজ নবীগঞ্জের ১৩ ইউনিয়নে ভোট, সকল প্রস্ততি সম্পন্ন

নূরুজ্জামান ফারুকী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ  নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট তৃতীয় ধাপে অনুষ্টিতব্য আজ ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে আওয়ামীলীগ বনাম বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। দু’টি ইউনিয়নে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী। নবীগঞ্জ উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে ৬২ জন, সংরক্ষিত আসনের ৩৯টি পদের বিপরীতে ১৭৭ জন এবং ১১৭টি সাধারন সদস্য পদের বিপরীতে ৪৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

স্ব-স্ব ইউনিয়নে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেছেন। উঠান বৈঠকসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন কলা কৌশল অবলম্বন করেছেন। এর মধ্যে কোন প্রার্থী ভোটারদের পা ধরে ভোট ভিক্ষা প্রার্থনার ঘটনাটি খুব জোরে শুরে আলোচনায় ঝড় তোলেছে। নির্বাচনে কালো টাকা ছড়াছড়ির অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি মাদক সেবীদের ভোট নিজের আয়ত্তে আনতে তাদের হাতে তোলে দেয়া হচ্ছে দেশী-বিদেশী মদ, গাজা। নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করছেন অনেক প্রার্থীই। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতিত শান্তি শৃংখলা বজায় রয়েছে নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্টভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। শুক্রবার রাত ১২ টা থেকে আনুষ্টানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারনা বন্ধ রয়েছে।  রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত হবে ১৩৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন। ১৩৩টি কেন্দ্রে ১৩৩ জন প্রিজাইটিং অফিসার এবং ১৩২১ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে আইনশৃংখলার দায়িত্বে থাকছেন ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পর্যাপ্ত র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ এবং আনসার বাহিনী। নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য থাকছেন মিডিয়াকর্মীরা। তাদেরকে দেয়া হয়েছে পর্যবেক্ষন কার্ড। শেষ মুহুর্তের প্রচারনায় উপজেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১২ টায় আনুষ্টানিকভাবে প্রচারণা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন অফিসার দেবশ্রী দাস পার্লি।
সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ২ শত ৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৫ শত ৫০ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৬ শত ৭৭ জন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৩৩টি। ভোট কক্ষ মোট ৬২৯টি। এরমধ্যে স্থায়ী ভোট কেন্দ্র ৫৭৫টি, অস্থায়ী কক্ষ ৫৪টি। গত ২রা নভেম্বর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই বাচাই শেষে ১২ নভেম্বর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্টানিকভাবে অংশ গ্রহন না করলেও দলীয় লোকজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার সর্বত্র নির্বাচনী হাওয়ার শেষ মুহুর্তে কে হবে স্ব স্ব ইউনিয়নের নির্বাচিত অভিভাবক এ নিয়ে সরব আলোচনা বিরাজ করছে। প্রার্থীদের নির্ঘুম প্রচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল হাট, বাজার, দোকানপাট, হোটেল রেস্তুোরাসহ উপজেলার জনপদ।

এবারের নির্বাচনে উপজেলার ১নং বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সমর চন্দ্র দাশ (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান সত্যজিৎ দাশ (চশমা) ও রঙ্গলাল রায় (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওই ইউপিতে ৯টি সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে ৩৫ ও ৩টি সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে ১৪ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ইউনিয়নে মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিমূখী। নৌকার প্রার্থী সমর দাশের সাথে লড়াই হবে বর্তমান চেয়ারম্যান সত্যজিৎ দাশের। শেষ পর্যন্ত ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশী। ২নং বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান আশিক মিয়া নির্বাচন অংশ গ্রহন করছেন না। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন ছুবা (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাবেক চেয়ারম্যান মেহের আলী মহালদার (আনারস), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান-১ খালেদ মোশারফ (ঘোড়া), দিলদার হোসেন (মটর সাইকেল)। ওই ইউনিয়নে প্রাথমিক জরিপ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে দ্বিমুখী যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নৌকার প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী তরুন সমাজ সেবক ও বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান খালেদ মোশারফ। ওই ইউনিয়নে সাধারন সদস্য পদে ৩৯ এবং সংরক্ষিত আসনে ১২ জন। ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ তিনি নির্বাচনে অংশ করেন নাই। লন্ডন প্রবাসী যুবলীগ নেতা আছাবুর রহমান (নৌকা), জাপা নেতা শাহীন আহমদ (লাঙ্গল), আওয়ামীলীগ নেতা লন্ডন প্রবাসী মোঃ ছায়েদ উদ্দিন (মোটর সাইকেল), যুবলীগ নেতা নোমান আহমদ (ঘোড়া) ও লন্ডন প্রবাসী বিএনপি নেতা মোঃ মোস্তফা কামাল (আনারস)। এই ইউনিয়নে লড়াই হবে ত্রিমুখী। শেষ পর্যন্ত নৌকার ভরাডুবির সম্ভাবনা রয়েছে। জনমতে এগিয়ে রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী নোমান আহমদ (ঘোড়া)। ওই ইউপিতে সাধারন সদস্য ৩৭ ও সংরক্ষিত আসনে ১৩ জন।। ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাঈদ (নৌকা), জাপা নেতা মোঃ আব্দুল হান্নান চৌধুরী (লাঙ্গল), বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান ছালিক মিয়া (আনারস), ইউপি বিএনপি সভাপতি আব্দুল বারিক রনি (মোটর সাইকেল), লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গাফ্ফার (ঘোড়া), এলাওর মিয়া (চশমা)। ওই ইউনিয়নে লড়াই হবে ত্রিমুখী। নৌকার সাথে প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ছালিক মিয়া এবং অপর বিএনপি নেতা আব্দুল বারিক রনি। শেষ মুহুর্তে আব্দুল বারিক রনির সাথে প্রতিদ্বন্ধিতায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা। এখানে সাধারন সদস্য পদে ৩৫ ও সংরক্ষিত আসনে ১৩ জন। ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হারুন নির্বাচনে অংশ করেন নাই। সাবেক চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলাওর হোসেন (নৌকা), যুবলীগ নেতা আব্দুল হামিদ নিক্সন (ঘোড়া), মোফাজ্জল হক (চশমা), এজহারুল হক চৌধুরী (আনারস)। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিমূখী। তবে নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেন এর জয়ের সম্ভবনা বেশী। সাধারণ সদস্য পদে ৪৫ ও সংরক্ষিত ১৪ জন।
৬নং কুর্শি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা লন্ডন প্রবাসী আলী আহমদ মুছা (নৌকা), সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ খালেদুর রহমান (আনারস) লন্ডন প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মুকিত (চশমা), লন্ডন প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আবু তালিম (মোটর সাইকেল), লন্ডন প্রবাসী বিএনপি নেতা শামছুল হুদা চৌধুরী বাচ্চু (ঘোড়া), লন্ডন প্রবাসী শেখ মোঃ আব্দুল গফুর (টেলিফোন)। বর্তমানে ওই ইউনিয়নে ত্রিমূখী লড়াই চলছে। শেষ মুহুর্তে মুল লড়াই হবে বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুছা (নৌকা) এর সাথে সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ এর। ওই ইউপিতে সাধারণ সদস্য পদে ৪৩ ও সংরক্ষিত সদস্য ১৩ জন। ৭নং করগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ছাইম উদ্দিন (আনারস), সাইফুল ইসলাম (লাঙ্গল), বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা (ঘোড়া)ও প্রাক্তন মেম্বার শেখ মোঃ ইছাক মিয়া (মোটর সাইকেল)। ওই ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লড়াই হবে বর্তমান চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিনের সাথে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্মলেন্দু দাশ রানা’র। এখানে মেম্বার পদে ৪১ ও মহিলা মেম্বার ১৭ জন। ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থী সাজু আহমদ চৌধুরী (আনারস), মুফতি মিয়া (লাঙ্গল), ছাত্রদল নেতা জাকির আহমদ চৌধুরী (মোটর সাইকেল), আতাউর রহমান চৌধুরী (ঘোড়া), খাজা সফি ওসমান খাকি চৌধুরী (খেলাফত আন্দোলন)(হাতপাখা)। এখানে বর্তমানে ত্রিমূখী লড়াই থাকলেও শেষ পর্যন্ত দ্বিমুখী লড়াই হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাজু চৌধুরী (আনারস) এর সাথে লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের। জনমতে এখন পর্যন্ত সাজু চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। মেম্বার পদে ৩৬ ও মহিলা মেম্বার ১৯ জন। ৯নং বাউসা ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দীক (নৌকা), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লন্ডন প্রবাসী জুনেদ হোসেন চৌধুরী (ঘোড়া) ও বিএনপি নেতা সাদিকুর রহমান শিশু (আনারস)। ওই ইউনিয়নে প্রথম দিকে ত্রিমুখী লড়াই শুরু হলেও শেষ মুহুর্তে দ্বিমুখী লড়াই জমে উঠেছে। বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকার প্রার্থী আবু সিদ্দীক এর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিকুর রহমান শিশু’র। তবে নৌকা অনেকটা এগিয়ে রয়েছে বলে জনশ্রুত রয়েছে। মেম্বার পদে ২৯ জন ও মহিলা মেম্বার পদে ১১ জন। ১০নং দেবপাড়া ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মুহিত চৌধুরী (নৌকা), যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ (ঘোড়া), মরহুম  চেয়ারম্যান জাবিদ আলীর পুত্র শাহ রিয়াজ নাদির সুমন (চশমা), কুহিনুর মিয়া (আনারস)। ওই ইউনিয়নে দ্বিমূখী লড়াই হলেও জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রয়াত চেয়ারম্যান পুত্র শাহ রিয়াজ নাদির সুমন (চশমা)। মেম্বার পদে ৩৮ জন ও মহিলা মেম্বার ৯ জন। ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ইমদাদুর রহমান মুকুল (আনারস), আওয়ামীলীগ নেতা সাবের আহমদ চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি নেতা শফিউল আলম (চশমা), বিএনপি নেতা আবুল খায়ের কায়েদ (ঘোড়া) ও আওয়ামীলীগ নেতা হাফেজ আইয়ুব আলী (সিএনজি)। ওই ইউনিয়নে বিএনপি নেতা শফিউল আলমের সাথে লড়াই হবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমদাদুর রহমান মুকুলের। শেষ পর্যন্ত মুকুল এর জয়ের সম্ভাবনা বেশী। ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে নানা কলা কৌশল ও ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মেম্বার পদে ৩৪ জন, মহিলা মেম্বার ১২ জন। ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউপিতে আওয়ামীলীগ নেতা ফরহাদ আহমদ (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম (ঘোড়া), আওয়ামী বিদ্রোহী এমদাদুল হক চৌধুরী (আনারস), জাপা নেতা হাফিজুর রহমান চৌধুরী (লাঙ্গল) ও বিএনপি নেতা হাজী আজিজ আহমদ মেরাজ (চশমা)। এখানে লড়াই হবে ত্রিমূখী। মেম্বার পদে ৩৩ জন, মহিলা মেম্বার ১৮ জন।
১৩নং পানিউন্দা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ বারের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ইজাজুর রহমান (নৌকা) প্রার্থী মহিবুর রহমান মামুন (আনারস)। ওই ইউনিয়নে পশ্চিমাঞ্চল এক হলে মহিবুর রহমান মামুন রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। এখানে মেম্বার পদে ২৫ জন এবং মহিলা মেম্বার পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন ও রির্টানিং কর্মকর্তা দ্রেবশ্রী দাশ পার্লি জানান, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ট ভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। তিনি উপজেলায় ৫০টি কেন্দ্রকে ঝুকিঁপূর্ণ বলে সনাক্ত করা হয়েছে। পর্যান্ত পরিমানের আইন শৃংখলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।