অবশেষে হেফাজত নেতা মামুনুল গ্রেফতার

0
860
অবশেষে হেফাজত নেতা মামুনুল গ্রেফতার
অবশেষে হেফাজত নেতা মামুনুল গ্রেফতার



নূরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) একাধিক টিম।
আজ রোববার (১৮এপ্রিল) দুপুর পৌনে একটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া কওমী মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিমের যৌথ অভিযানে মামুনুলকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ  মাসে ভারতে মুসলিম নির্যাতনের অভিযোগে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলাম। মোদির বিরোধিতায় প্রথমে ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা হয়, এর জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাণঘাতী সংঘাত হয়। যার ফলে ২৮ মার্চ হরতাল ডাকে হেফাজত ইসলাম, তাদের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে চরম অরাজকতা পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশের কওমি প্রদান অঞ্চলে।


এরপর গত ৩ এপ্রিল (চলতিমাসে) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ‘ঘেরাও’ করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, মামুনুল এক নারীসহ আটক হয়েছেন। যদিও ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল হক এবং ওই সময় তিনি রিসোর্টে নিয়ে আসা নারীকে নিজের স্ত্রী দাবী করে তার নাম আমেনা তৈয়বা বাড়ী খুলনা বলে দাবী করেন যদিও অপর ভিডিওতে ওই কথিত স্ত্রী নিজেকে জান্নাত আরা এবং গ্রামের বাড়ী ফরিদ পুরের ডাঙা পরে আলফা ডাঙা বলে দাবী করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় রিসোর্ট থেকে পুলিশের হাত থেকে তাকে ছাড়িয়ে স্থানীয় একটি মসজিদে নিয়ে যান হেফাজত নেতাকর্মীরা।

ওই সময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা রিসোর্ট, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এছাড়া তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। তাছাড়া সিলেটে ও চট্টগ্রামে আন্দোলন করে হেফাজত ভক্তরা।

ওইদিন পুলিশের ওপর হামলা ও রিসোর্টে ভাঙচুরের অভিযোগে মামুনুল হকসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। এছাড়া মামলায় ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়।  

এ মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও রিসোর্টে ভাঙচুরের অভিযোগ এনে ৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে।
এছাড়া যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ আরো একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় হেফাজত কর্মি ছাড়াও জাতীয় পার্টিসহ বিএনপি নেতাকর্মিদের নামও রয়েছে।