৯ বছর পরে মোল্লা ওমরের কবরের ঠিকানা প্রকাশঃতালেবান নেতাদের কবর জিয়ারত

0
290

আমার সিলেট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে ত্বালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের কবরের ঠিকানা অবশেষে ৯ বছর গোপন রেখে গত রোববার প্রকাশ করেছে দলটি।
আমেরিকার তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় ত্বালেবান ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর মোল্লা ওমরের স্বাস্থ্য ও অবস্থান সম্পর্কে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ।

২০১৫ সালের এপ্রিলে ত্বালেবান প্রথম স্বীকার করে যে, তিনি দু’ বছর আগে মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর কবরের ঠিকানা তারা গোপন রাখে।
রোববার ত্বালেবানের মুখপাত্র যাবীহুল্লাহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এএফপিকে জানান- “মোল্লা ওমরের কবর আফগানিস্তানের জাবুল প্রদেশের সুরী জেলার ওমরজোরের কাছে অবস্থিত। ত্বালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতারা গতকাল দিনের শুরুর দিকে মোল্লা ওমরের কবর জিয়ারত করেন। যেহেতু ত্বালেবানের অনেক শত্রু ছিলো এবং দেশটি দখল করা হয়েছিলো, সেহেতু মোল্লা ওমরের কবরের ক্ষতি এড়াতে এ-সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা হয়েছিলো। শুধু পরিবারের সদস্যরাই জায়গাটি সম্পর্কে জানতেন। তবে আবার আমরা ক্ষমতায় ফিরে এসেছি। তাই, সাধারণ মানুষকে এ কবর জিয়ারতের সুযোগ দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
ত্বালেবান কর্মকর্তারা মোল্লা ওমরের কবরের কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যায় – ত্বালেবান নেতারা সাদা ইট দিয়ে বাঁধাই করা একটি কবরের চারপাশে জড়ো হয়েছেন। কবরের ওপর নুড়ি ছড়ানো রয়েছে। কবরটির চারপাশ ও ওপরের দিকে রয়েছে ধাতবের বেড়া।
মোল্লা ওমর যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স হয়েছিলো প্রায় ৫৫ বছর। তিনি ১৯৯৩ সালে আব্দুল গণী বারাদারকে নিয়ে ত্বালেবান প্রতিষ্ঠা করেন। দলটির মূলনীতি হচ্ছে – ইসলামের মৌলিকত্ব, দেওবন্দী ধারার ইসলাম, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ, আফগান জাতীয়তাবাদ, পশতুন স্বার্থ ও পশতুন সংস্কৃতি। পশ্চিমা গণমাধ্যমের মতে, মোল্লা ওমর ও বারাদার সম্পর্কে ভায়রা।
উল্লেখ্য, ২০ বছরের দখলদারী শেষে ‘ছেড়ে দে মা; কেঁদে বাঁচি’ পরিস্থিতিতে পড়ে গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তান ত্যাগ করে ন্যাটো বাহিনী।
ফলে, দেশটির ক্ষমতা ত্বালেবানেরা ফিরে পেয়ে সরকার গঠন করে। সূত্র: এএফপি, উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য।