হেফাজত নেতাদের অবৈধ অর্থের খুঁজে

0
520
হেফাজত নেতাদের অবৈধ অর্থের খুঁজে দুদক
হেফাজত নেতাদের অবৈধ অর্থের খুঁজে দুদক

নুরুজ্জামান ফারুকী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ বিভিন্ন দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়েও ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
বুধবার (০৯ জুন) বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি। এ সময় দুদক সচিব বলেন, আমরা হেফাজত নেতাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। ভূমি অফিসে চিঠি দিয়েছি জমি বা সম্পদ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য। ব্যাংকগুলোকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের ব্যাপারে সকল তথ্য বের করার চেষ্টা করছি।

এদিকে হেফাজতে ইসলামের আরও ৪৬ জন নেতার ব্যাংক হিসাবের লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথা থেকে কী উদ্দেশ্যে টাকা এসেছে এবং কোথায় খরচ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। নতুন যে ৪৬ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই হেফাজতের বিগত কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন।

এর আগে গত এপ্রিলে হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছিল সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কাজ করা বিএফআইইউ। ৪৬ জনের মধ্যে রয়েছেন- হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, সাবেক প্রচার সম্পাদক গাজী ইয়াকুব উসমানী (কসবা), সাবেক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক হারুন ইজহার, সাবেক সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব আহমেদ, সাবেক সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দিন।

ঢাকা মহানগরীর নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগরী হেফাজতের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাবেক অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সদস্য মাওলানা নূর হোসাইন নূরানী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, সাবেক সহকারী অর্থ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, সাবেক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মাওলানা হারুন ইজহার, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা জালাল উদ্দিন।

এ ছাড়াও জেলা উপজেলার অনেক নেতা রয়েছে যাদের নাম এখনো ধরা ছোঁয়ার বাউরে রয়েছে এর মধ্যে মো. আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ কাসেমী, হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা মুহাম্মদ মহসিন মিয়া, মুফতি আবদুর রহিম কাসেমী, জাকারিয়া নোমান কাসেমী, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আলী হাসান উসামা, নাসির উদ্দিন, আহসান উল্লাহ মাস্টার, আসাদুল্লাহ আসাদ, মাওলানা মুসা বিন ইসহাক, ফজলুর রহিম কাসেমী, মাওলানা এহসানুল হক, খলিলুর রহমান মাদানী, আবু আম্মার আবদুল্লাহ, আজহারুল ইসলাম, শাহীনুর পাশা চৌধুরী, ওবায়দুল্লাহ কাসেমী, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আশরাফ মাহাদী, মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ জামী, মাওলানা শাহ আকরাম আলী, মাওলানা মুফতি কামরুজ্জামান, মাওলানা মুফতি কেফায়েত উল্লাহ, ইনামুল হাসান ফারুকী, মাওলানা মুহসিনুল করিম, মাওলানা জয়নাল আবেদীন বাকাইলী ও মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমীর নামও আছে এই তালিকায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here