হাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে শহরে ও মহাসড়কে চলছে চাঁদাবাজি

0
824
হাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে শহরে ও মহাসড়কে চলছে চাঁদাবাজি
হাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে শহরে ও মহাসড়কে চলছে চাঁদাবাজি

নুর মোহাম্মদ সাগর, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরে ও মহাসড়কে গাড়ী আটকিয়ে হাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। ফলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, পথচারী ও স্থানীয়রা জিম্মি হয়ে পড়েছেন হাতির এই চাঁদাবাজি চক্রের কাছে। সাধারণের ধারণা দেখতে বিনোদন হলেও ভয়ানক কাণ্ড ঘটে যেতে পারে যে কোন সময়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের ভানগাঁছ রোড, স্টেশন রোড, সোনার বাংলা রোড, কলেজ রোড, মৌলভীবাজার রোড, হবিগঞ্জ রোডে হাতি দিয়ে দোকান থেকে টাকা তুলতে দেখা যায়। বড় একটি হাতির পিঠে বসে একজন হাতিটিকে পরিচালনা করছেন, বাকিরা আশেপাশে ছড়িয়ে আছে।হাতি শুঁড় দিয়ে দোকানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে হাতিতে বসে থাকা লোকটির হাতে তুলে দিচ্ছে। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরছে না এবং টাকা না দিলে দোকানের মালামাল নষ্ট করা হয়। এমন দৃশ্যও দেখা গেছে।
ব্যবসায়িরা জানান, দোকানে হাতি এনে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। দোকান প্রতি কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে আদায় করা হয়। হাতি দোকানের সামনে এসে দোকানিদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। চাঁদার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে হাতি সরানো হচ্ছে না। এই রকম চাঁদাবাজি চলছে দীর্ঘদিন ধরে।তারা কিছু দিন পরপর শহরে গ্রামে চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়।
চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেলে হাতির শুঁড় দিয়ে দোকানের মালামাল ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে তার অভিযোগ। এভাবে টাকা আদায়ের কারণে দোকানে বেচা-কেনায় সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘দুই-তিন মাস পরপর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাতি দিয়ে এখানে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি দেখার কেউ নেই।’
হাতির পরিচালক পরিচালনাকারী বলেন, হাতিটির খাবারের জন্য টাকা সংগ্রহ করি। তবে হাতিকে খাবার টাকা না দিলে হাতি পাগল হয়ে যায়।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন,‘ব্যক্তি মালিকানা বন্যপ্রাণি দিয়ে টাকা নেয়া ঠিক নয়। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, হাতি দিয়ে তো শহরের দোকানে এসে টাকা তুলার নিয়ম নেই। এটা গণউপদ্রপ এর আওতায় পরে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।