হাওরে সেচ পাম্পের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ বেকার

    0
    634
    “ক্ষতিগ্রস্থ কাউয়াদিঘি হাওরে সেচ পাম্পের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ কৃষকদের কোন কল্যাণে আসছেনা”

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১২মে,হৃদয় দাশ শুভ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার ও রাজনগর উপজেলার ৫৬ হাজার একর জমিতে সেচ ও নিরাপদ ধান উৎপাদনের লক্ষে শত কোটি টাকা ব্যয়ে মনু প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ১৯৭৫-৭৬ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৮২-৮৩ সালে।জেলার ছোট বড় অনান্য হাওরের মত এবছর কাউয়াদিঘি হাওরের বোরো চাষীদের এমন দূর্ভোগে পড়ার কথা ছিলনা।

    কারণ কাওয়াদিঘি হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসনে রয়েছে শত কোটি টাকার প্রকল্প।
    এজন্য হাওর তীরে রয়েছে ৯টি সেচ পাম্পের কাশিমপুর পাম্প হাউজ। কিন্তু নানা অজুহাতে প্রয়োজনের সময়ে সচল থাকেনা বিশাল ব্যয়ের পাম্প হাউজটি। তাই দু’ মৌসুমেই এই পাম্প হাউজ থেকে কোন সুবিধাই পাচ্ছেনা হাওর পাড়ের কৃষকরা।
    প্রতিবছরে ন্যায় এবারো চৈত্রের অকাল বন্যায় বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সরকার প্রতিবছরই ওই প্রকল্প আর সেচ পাম্পের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিচ্ছে। কিন্তু এ বরাদ্দ কৃষকদের কোন কল্যাণে আসছেনা। অনান্য হাওরের মত এবছর অকাল বন্যায় কাউয়াদিঘি হাওরের বোরো ফসল কথা ছিলনা। কিন্তুসময় মত পাম্প হাউজের সবক’টি পাম্প সচল না থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও এখন নি:স্ব বোরো চাষীরা।