হরতালের দ্বিতীয় দিন রাজধানীতে ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও আগুন

    0
    676

    ॥ জিএম ছাইফুল ইসলাম ॥   Hartal 2nd day1

    বিএনপি জোটের ডাকে ৩৬ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার যানবাহন ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

    সকাল আটটার দিকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকার একটি গলি থেকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং ইটপাটকেল ছোড়া হয়। মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং সেখান থেকে দুজনকে আটক ও একটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে।

    সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুরান ঢাকার ধোলাইরপাড় মোড় এলাকা থেকে ছাত্রশিবিরের ৪০-৫০ জন নেতা-কর্মী আকস্মিক মিছিল বের করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেখান থেকে দুজনকে আটক করা হয়। মিছিলকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
    সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুরান ঢাকার আহসান মঞ্জিলের সামনে থেকে ছাত্রশিবির একটি মিছিল বের করে। এ সময় সেখানে অবস্থানরত ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁদের তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
    মিরপুর ১ নম্বর সেকশনে মাজার রোডে প্রাইম ইউনিভার্সিটির সামনে সকাল ছয়টার দিকে হরতালের সমর্থকেরা মিছিল বের করে। এ সময় তারা পোশাকশ্রমিক বহনকারী একটি বাস ভাঙচুর করে।
    সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুরের সেনপাড়ায় আল হেলাল হাসপাতালের সামনে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তবে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
    সকাল আটটার দিকে মিরপুর কমার্স কলেজের সামনেও শিবিরকর্মীরা মিছিল করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। এ সময় সেখানে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময় মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে দুই-তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তাদের মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। মোটরসাইকেলটি দারুসসালাম থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান থানার উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন।

    সকাল সাড়ে আটটার দিকে সেগুনবাগিচায় বারডেম-২ হাসপাতালের সামনে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে পিকেটাররা। এতে গাড়ির চালক আহত হয়েছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সকাল সাড়ে আটটার দিকে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে তাঁরা যানবাহনে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় পুলিশ কয়েক দফা রাবারের গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুরান ঢাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, তবে যাত্রীসংখ্যা তুলনামূলক কম।

    ভোর থেকেই পুলিশ ও র্যাবের বিপুলসংখ্যক সদস্য নগরের গলি থেকে রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন। প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল স্বাভাবিক দিনের চেয়ে অনেক বেশি। বাসস্ট্যান্ডগুলোর সামনে অফিসগামী মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে।