সারাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনায় মনোনয়নপত্র জমা দেয়া শেষ

    0
    209

    আমারসিলেট24ডটকম,০২ডিসেম্বরঃ সারাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনায় আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য সারাদেশে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া শেষ হয়েছে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি,বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট,তরিকত ফেডারেশন, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বিএনএফসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নিজ নিজ জেলার  রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়পত্র দাখিল করেন।

    মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ১ হাজার ১২১ জন প্রার্থী
    নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ সোমবার ছিল আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। আজ বিকাল পর্যন্ত ৬৬টি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ১৪টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মোট ১ হাজার ১২১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৯০ জন।
    এদিকে বিরোধী জোটের অবরোধের অভিযোগ করে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেয়নি। এ ব্যাপারে সিইসি সাংবাকিদের জানান, সময় স্বল্পতার কারণে নির্বাচন পেছনোর বা সময়ক্ষেপণ করার সুযোগ নেই। সংবিধানের ১২৩ (ক) অনুযায়ী আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দিতে আইনগত বাধ্য। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময় শুরু হওয়ার প্রথমদিকে ইসি সময়ক্ষেপণ করার কারণে স্বল্পসময়ে ইসিকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রতীক বরাদ্দ ও প্রার্থীদের প্রচারণার সুযোগের বিষয়টিও রয়েছে।
    অন্যদিকে বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করছে। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলীয় জোট প্রথম থেকেই আন্দোলন করে আসছে। একই সাথে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা বর্জন ও প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর বিরোধী জোট তা প্রত্যাখ্যান করে এর প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। একদিনের বিরতি দিয়ে বিরোধী জোটের দুদফায় টানা অবরোধ কর্মসূচি এখনো অব্যাহত রয়েছে। ১৯৯৬ সালে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল নিয়ে আন্দোলন করে এবং বিএনপি সরকারের অধীনে ১৫ ফেব্র“য়ারির নির্বাচন বর্জন করে। বিএনপি সরকারের একতরফা নির্বাচনে ৪২টি রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯৭৮টি। আর মনোনয়নপত্র জমা পড়লেও শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। সর্বশেষ এই নির্বাচনে বিএনপির ৪৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং মোট ২৭৮ জন প্রার্থী জয়লাভ করে। ফ্রিডম পার্টির ১ ৭জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০ জন নির্বাচিত হয়। বাকি আসনগুলোতে নির্বাচন বিভিন্ন কারণে স্থগিত হলে পরে সেগুলোতে আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
    প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের একতরফা নির্বাচনের ফলাফল বর্তমান বিরোধী দল বিএনপির অনুকূলে গেলেও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের আন্দোলনে ওই সরকার টিকতে পারেনি। সর্বমোট ৪৫ দিনের সরকারের টিকে থাকাকালীন সময়ে ৪ কার্যদিবসের সংসদ অধিবেশন ছিল একটি। সংসদে নির্দলীয় সরকারের বিল পাশ করে ৩০ মার্চ ১৯৯৬ সালে সরকার সংসদ ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হয়।