সমকামী চিহ্ন সংশ্লিষ্ট পোশাক পরায় কাতারে সাংবাদিক আটক

0
83

আমার সিলেট ডেস্কঃ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে চলছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া ইভেন্ট উপভোগে সারা বিশ্বের নজর এখন কাতারে। আর এর মধ্যেই বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া এক মার্কিন সাংবাদিককে আটক করেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।
সমকামী প্রতীকের শার্ট অর্থাৎ রংধনু রংয়ের পোশাক পরায় সোমবার (২১ নভেম্বর) তাকে আটক করে কাতারের নিরাপত্তা বাহিনী। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রংধনু রংয়ের পোশাক পরায় কাতারে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আটক হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক সাংবাদিক। সোমবার ওই পোশাক পরে তিনি বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হন। মূলত তিনি এমন একটি দেশের এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সমর্থনে রেইনবো শার্ট পরে প্রকাশ্যে বের হয়েছিলেন যেখানে সমকামী সম্পর্ক অবৈধ।
রয়টার্স বলছে, অভিযুক্ত ওই মার্কিন সাংবাদিকের নাম গ্রান্ট ওয়াহল। তিনি একজন সাবেক স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড সাংবাদিক এবং এখন তার নিজের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। তিনি বলেছেন, ওয়েলসের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ম্যাচ দেখতে আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার সময় বিশ্বকাপে নিরাপত্তায় নিযুক্ত দল তাকে আটক করে এবং তার শার্ট খুলে ফেলতে বলা হয়।
তিনি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে টুইটারে পোস্ট করলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ওয়াহল টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি ঠিক আছি, কিন্তু এটি একটি অপ্রয়োজনীয় কঠোর পরীক্ষা ছিল।’
তিনি দাবি করেন, একজন নিরাপত্তা কমান্ডার পরে তার কাছে আসেন, ক্ষমা চান। পরে তাকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া পরে ফুটবলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার একজন প্রতিনিধি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলেও দাবি করেন গ্রান্ট ওয়াহল।
রয়টার্স এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ফিফার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।
উল্লেখ্য, সমকামীদের প্রতীক হলো রংধনু। সমকামীতা বোঝাতে তারা এই প্রতীকটি ব্যবহার করে থাকে। আর সমকামীদের অধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রতীক রংধনু রঙের পতাকা।
এই সম্প্রদায়ভুক্তদের দাবি, রংধনু রঙের পতাকা ওড়ানো ও এই রঙের পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে মানব সমাজের নানামুখী বৈচিত্র্যকে স্বীকার করেন সমকামীরা। সূত্রঃ আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here