সংবিধান ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে দেশবাসীকে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানের আহ্বান

    0
    222

    আমারসিলেট24ডটকম,০৪জানুয়ারীঃ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা সমুন্নত রাখতে আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশবাসীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সব ভয় ও বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছেন। নেতৃদ্বয় একইসাথে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শঙ্কাহীন নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃদ্বয় বলেন, এবারের নির্বাচন শুধুমাত্র একটি সরকার পরিবর্তন করে আরেকটি সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর নির্বাচন নয়, বরং যুদ্ধাপরাধী চক্র এবং সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী প্রতিবিপ্লবী অপশক্তির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শাসনধারা অব্যাহত রাখার সংগ্রাম। এই নির্বাচন একই সাথে সংবিধান এবং বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষা ও তাকে সমুন্নত করার প্রয়াস। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষশক্তির লড়াইয়ের অংশ।

    বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃদ্বয় বলেন, সাম্প্রদায়িক প্রতিক্রিয়াশীল জঙ্গিবাদী দুর্বৃত্তায়িত শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিমুখী অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক যে শাসনধারা সূচিত হয়েছিল, তার বিপরীতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি প্রতিবিপ্লবী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে এবং তারই অংশ হিসেবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে তারা রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই পরাজিত অপশক্তির এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হতে হলে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শাসনধারা অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই। এ কারণেই দেশবাসীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করে সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে হবে।

    ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে আরো বলেন, ভোট বানচাল করে দেশে অগণতান্ত্রিক শাসন আমন্ত্রণ করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জামাত-বিএনপিসহ বিরোধী অপশক্তি বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ব্যক্তির উপর হামলা-আক্রমণ-অগ্নিসংযোগ-মানুষ খুন করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। একই সাথে ভোট বানচাল করে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং তার মদদপুষ্ট দেশি-বিদেশি চক্রও নানা ধরনের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শঙ্কাহীন ভোটদান নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর ও শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

    দুই প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত লড়ছেন আরো ১৬ জন

    আগামীকাল ৫ জানুয়ারি দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও নির্বাচনকালীন সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন (ঢাকা-৮) এবং পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী-২)।

    এছাড়াও আগামীকালের ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ওয়ার্কার্স পার্টি আরো ১৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে ‘নৌকা’ প্রতীকে লড়াই করছেন সাতক্ষীরা-১ আসনে মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এবং নড়াইল-২ আসনে শেখ হাফিজুর রহমান। এছাড়া পার্টির নিজস্ব ‘হাতুড়ী’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করছেন ওয়ার্কার্স পার্টির আরো ১৪ প্রার্থী। তারা হলেনÑ দিনাজপুর-১ আসনে আব্দুল হক, দিনাজপুর-৩ আসনে মাহমুদুল হাসান মানিক, দিনাজপুর-৪ আসনে এনামুল হক সরকার, দিনাজপুর-৫ আসনে রবীন্দ্রনাথ সরেন, দিনাজপুর-৬ আসনে আফসার আলী, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ইমরান হোসেন চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ইয়াসিন আলী, নাটোর-৩ আসনে মিজানুর রহমান, পাবনা-১ আসনে নজরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে সিরাজুল ইসলাম শেখ, ঝিনাইদহ-৪ আসনে মোস্তফা আলমগীর রতন, বরিশাল-৩ আসনে টিপু সুলতান, চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-৯ আসনে আবু হানিফ।

    বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আনিসুর রহমান মল্লিক এক বিবৃতিতে জনগণের প্রার্থী হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করার মাধ্যমে জাতীয় সংসদে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে এসব সংসদীয় এলাকার ভোটারদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।প্রেসবিজ্ঞপ্তি।