শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা টিকা নিবন্ধন চলছে

0
829
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা টিকা নিবন্ধন চলছে

“৯ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৩০টি ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে মোট ১৮ হাজার টিকা প্রদান করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩ টি ও পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে ১ টি করে বুথ। ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে৷ ৭ তারিখের আগেই সবার রেজিস্ট্রেশন করার লক্ষে ঘরে ঘরে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে৷ সামগ্রিকভাবে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন আশানুরূপ, জনসমাগম এড়াতে আগেই রেজিস্ট্রেশন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ টিকা প্রদানের দিনগুলোতে টিকার বুথে শৃংখলা রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক, আনসার,পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করবে ৷” শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম।

রাজেশ ভৌমিক,শ্রীমঙ্গল থেকেঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ৯ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় তিন দিনে ১৮ (আঠারো) হাজার মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজতর করার লক্ষ্যে করোনা টিকা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন৷

দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা প্রদানের এই কর্মসূচীর সাথে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এই টিকা প্রদান কর্মসূচী বাস্তবায়িত হবে৷ সম্প্রসারিত এই টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন৷

মঙ্গলবার (৩ জুলাই ২০২১) বিকালে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডকে প্রাথমিকভাবে টিকা প্রদানের জন্য নেয়া হয়েছে৷ প্রতিটি ওয়ার্ডের ৬০০ জন মানুষ প্রথম পর্যায়ে এই টিকাকরনের আওতায় আসতে পারবে। টিকাকরনের এই কার্যক্রমকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে উপজেলা প্রশাসন শ্রীমঙ্গল৷

৩০টি ওয়ার্ডে একসাথে টিকাকরনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে টিকা বুথ,এতে প্রতিটি ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে হচ্ছে একটি করে বুথ৷ সেই বুথে টিকা প্রদান করবেন ইপিআই ও স্বাস্থ্য সহকারীরা৷ তাদের নামের তালিকা এর মধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে৷

কালীঘাট ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক কামাল মিয়া জানান, প্রতি ইউনিয়নে ৩ টি টিম। প্রতি টিমে ২ জন টিকাদানকারী ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী মোট ৫ জন। ৩টি টীমে ১৫ জন কাজ করবে। ৩টি টীমের জন্য ১ জন ১ম সারির তদারককারী/সুপাভাইজার থাকবে৷

সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরী করা হয়েছে,উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদেরকে টিকা নিবন্ধনের ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ৷ স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে যোগ্য ব্যাক্তিদের নিবন্ধন করে দিচ্ছেন৷

টিকাকরন সফল করতে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা জনসচেতনতা তৈরীতে কাজ করছেন তারা টিকা নেয়ার সুফল সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করছেন৷
টিকাদানকারী হিসেবে থাকবেন স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী যারা নিয়মিত অনান্য টিকা দিয়ে আসছেন৷

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, “এই সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী সফল করতে আমরা বদ্ধপরিকর৷ করোনা মোকাবেলায় কয়েকটি কার্যকর উপায়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টিকা গ্রহণ৷” তাই এই টিকা কর্মসূচীতে জনগনকে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ্রগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, “৯ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৩০টি ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে মোট ১৮ হাজার টিকা প্রদান করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩ টি ও পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে ১ টি করে বুথ। ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে৷ ৭ তারিখের আগেই সবার রেজিস্ট্রেশন করার লক্ষে ঘরে ঘরে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে৷ সামগ্রিকভাবে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন আশানুরূপ, জনসমাগম এড়াতে আগেই রেজিস্ট্রেশন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ টিকা প্রদানের দিনগুলোতে টিকার বুথে শৃংখলা রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক, আনসার,পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করবে ৷”