শ্রীমঙ্গলে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে উদ্দীপ্ত তারুণ্য নামে একটি সংগঠন

0
772
শ্রীমঙ্গলে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে উদ্দীপ্ত তারুণ্য নামে একটি সংগঠন
শ্রীমঙ্গলে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে উদ্দীপ্ত তারুণ্য নামে একটি সংগঠন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে গনপরিবহন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারছেননা সাধারন মানুষ। এতে করে দূর্ভোগে পরেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। আর মধ্যবিত্তরা পরেছেন মহাবিপাকে। তারা না পারছেন কইতে, না পারেছন সইতে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এমন দূর্ভোগে থাকা মানুষের পাশে দাড়িয়েছে উদ্দীপ্ত তারুণ্য নামে একটি স্থানীয় সমাজিক সংগঠন। সংগঠন সুত্রে জানা যায়, তারা গত ২০ মার্চ তাদের সংগঠনের ফেইজ বুক পেইজে একটি পোষ্ট দিয়ে “লকডাউনের কারনে খাদ্য সংকটে আছেন এমন কেউ থাকলে তাদের ইনবক্স বা ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়।” একই সাথে তাদের এই কাজে সাহায্য করার জন্য সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল ব্যাক্তিদের অনুরোধ জানান। তাদের এ সংগঠনে মোট সদস্য সংখ্যা ৫০ জন।

ওই দিন রাতেই তারা ফোন পেয়ে একটি পরিবারকে খাদ্যা সামগ্রী পৌঁছে দেন। প্রথমে তারা সংগঠনের সদস্যদের চাঁদায় এই কার্যক্রম শুরু করে। পরে সমাজের অনেক দানশীল ব্যাক্তিদের নিকট থেকে প্যাকেজ খাবার সংগ্রহ শুরু করে। এখন তারা মানুষদের নিকট থেকে আর্থিক সাহায্য এনে নিজেরাই বাজার থেকে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করে পেকেট করছে। বুধবার ২৭ এপ্রিল পর্যন্তÍ তারা এ উপজেলার ৭৫টি পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

খাদ্যসামগ্রীর মধ্য রয়েছে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি পেয়াজ, ১ লিটার তেল ও ১ কেজি লবন। উদ্দীপ্ত তারুণ্য’র প্রধান সমন্নয়ক হৃদয় শুভ জানান, “লকডাউনের কারনে যারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, যাদের জীবনযাত্রা একেবারে থমকে যায় যেমন গৃহ কর্মী, গৃহ শিক্ষক, দিন মজুর, নির্মান শ্রমীক, পরিবহন শ্রমীক, সেলুন কর্মী এসব মানুষের বাড়ীতে আমরা খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।“ তবে এই খাদ্যসামগ্রীকে তারা সহায়তা বা উপহার বলতে রাজি নয়। তারা শুধু তাদের সামর্থনুযায়ী মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন বলে জানান।

উদ্দীপ্ত তারুণ্য’র সদস্য রাজেশ ভৌমিক বলেন,”কিছু পাওয়ার জন্য আমরা এই কাজ করছি না। মানুষের জন্য কাজ করে মনে আনন্দ পাই শুধু এটুকুই আমাদের প্রাপ্তি, এতেই আমাদের আনন্দিত”।

সংগঠনের মূখপাত্র শিমুল তরফদার বলেন, “আমরা যাদের কাছে এই খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি কখনোই তাদের ছবি তুলছিনা। এছাড়া অনেক মধ্যবিত্ত দিনের আলোয় খাদ্যসহায়তা নিতে সংকোচ বোধ করেন। ওই সব পরিবারকে আমরা রাতের আধারে খাদ্যসামগ্রী তাদের বাড়ীতে পৌঁছে দিচ্ছি। আবার ফোন পেয়ে অনেক পরিবারের ঘরের দরজায় রেখে আসছি। তিনি বলেন, এখনো সমাজে কিছু ভাল মনের মানুষ আছেন যারা মানুষের উপকার করতে চান। আমরা এসব মানুষদের নিকট থেকে সাহায্য সংগ্রহ করে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াচ্ছি। আবার অনেকে নিজ উদ্যোগেই আমাদের সহায়তা করছেন। আমরা এসব ভাল মানুষ গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।“