নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট রোডস্থ রিপন হোটেলে ইফতারি বিক্রিকে কেন্দ্র করে ৪ পুলিশসহ ৮ জন আহতের সংবাদ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রথমে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দাবিদার আরিফ ও রিপন হোটেলের মালিকের ভাই এর মাথায় সেলাই লেগেছে বলে প্রাথমিক সুত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া মারাক্তক জখম প্রাপ্ত কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি।তবে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এসল্ট মামলা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,১৬ এপ্রিল রোজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রিপন হোটেল থেকে ইফতারি ক্রয় করে নিম্নমানের বলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মধ্যস্থতাকারী দাবিদার আরিফ নামের একজন মাথায় আঘাত পেলে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পরে যে আরিফকে রিপন হোটেলের লোকেরা মারদর করেছে। পরে আরিফের আহতের সংবাদে উত্তেজিত এলাকাবাসীর দুটি গ্রুপ ও তাদের স্বজনরা এলোপাতারি হামলা করে একে অপরের উপর। এ সময় হোটেলেও হামলা হয় এবং ভাংচুর করে এবং রিপন হোটেলের মালিকের এক ভাই গুরুতর আহতসহ উভয় পক্ষের অন্যরা আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
অপর দিকে পুলিশ সুত্রে জানা যায় হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পোঁছালে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টাকালে উজ্জ্বল নামের এক যুবককে পুলিশ থানায় নিয়ে যেতে চাইলে কতিপয় উত্তেজিত লোক পুলিশের গাড়ী আটকিয়ে উজ্জ্বলকে পুলিশের গাড়ী থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ বাঁধা দিলে কতিপয় উশৃংখল ব্যক্তি ইট পাটকেল নিক্ষেপ এমন কি পুলিশের ভ্যানে টানাটানি করে এতে উপ-পরিদর্শক আসাদুর রহমান, জাকির হোসেনসহ আরোও ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় থানার অপারেশন ওসি নয়ন কারকুন আমার সিলেটকে বলেন, “পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা ও সঙ্ঘর্শের বিরুদ্ধে ২০/৩০ জন অজ্ঞাত নামা আইন ভঙ্গকারী লোকের বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে এবং উজ্জ্বল মিয়া (৩২) নামে একজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় দায়ের কৃত মামলা নং-১৮।” এ ছাড়াও আরিফ ও রিপন হোটেলের পক্ষে দুটি এজহার দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।