আমার সিলেট 24 ডটকম,১২অক্টোবর :ভারতের উরিষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলমুখী শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পাইলিনের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়ার অধিদপ্তর। আজ দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বুলেটিনে এ সতর্কতা সঙ্কেত বাড়ানোর কথা বলা হয়। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ থেকে পাওয়া খবরে বলা হয় , অতি প্রবল এ ঝড় সন্ধ্যায় রাজধানীর উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গে দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটারে বাড়ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দর ঝড়ো হাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে বলে আভাস দেয়া হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। সন্ধ্যা নাগাদ পুরীর দক্ষিণে গোপালপুরের কাছ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।