মাদ্রাসায় অন্য কোন মতাদর্শ প্রতিষ্টার কাজ করছে কি না ?

    0
    259

    চাউরুলী জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসায় কিসের গোপন বৈঠক ?

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯মে,মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পাহাড় টিলা বেষ্টিত চাউরুলী জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা নিয়ে এলাকাবাসীর রয়েছে নানান অভিযোগ। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় টেংরা ইউনিয়নের চাউরুলী গ্রামে ২০০৫ সালে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করা হয়. তারপর গ্রীনহিল কিন্ডার গার্ডেন নামে স্কুলে নামকরণ হয়- এরপর কয়েক দফা নাম পরিবর্তন করা হয় কখনও মাদ্রাসা কখনও স্কুল -ঘনঘন নাম পরিবর্তন হয়ে বর্তমান নাম হল চাউরুলী জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা।

    এই মাদ্রাসা নিয়ে এলাকাবাসী জানান বেলজিয়াম প্রবাসী রাজনগর দত্ত গ্রামের মাও:নজরুল ইসলাম এই মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করেন।এলাকাবাসীর প্রশ্ন কাদের অর্থায়নে এই মাদ্রাসা চলছে?বেলজিয়াম-মরোক্ক সহ বহিরাগত রাষ্ট্র থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কালেকশন হয় এ টাকা কোথায় যায়-কাদের স্বার্থে ব্যাবহার হচ্ছে? প্রতি সপ্তাহে একদিন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কিসের গোপন বৈঠক করা হয়? মাদ্রাসার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যরা বহিরাগত লোক কেন? ২০১৩ সালে মরোক্ক থেকে টাকা কালেকশন করে মরোক্কের নাগরিক সহ এই মাদ্রাসা ভিজিট করেন মাও:নজরুল ইসলাম।

    এতো সব প্রশ্ন নিয়ে এলাকাবাসীরা সন্দিহান আসলে মাদ্রাসার নামে অন্য কোন মতাদর্শ প্রতিষ্টার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে নাকি?কেনইবা এলাকাবাসীকে এড়িয়ে তাদের পথচলা।
    এব্যাপারে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও:ইদ্রিস আলী বলেন.বেলজিয়াম প্রবাসী মাও:নজরুল ইসলাম প্রতি মাসে সিংহ ভাগ টাকা দিয়ে মাদ্রাসায় সহযোগীতা করেন এবং এলাকার দাতাদের সাহায্যে মাদ্রাসাটি চলছে।সাপ্তাহিক মিটিংয়ের কথা স্বীকার করে বলেন.সপ্তাহে মিটিং হয় তবে অন্য কোন মতাদর্শ প্রতিষ্টার কোন মিটিং এখানে হয়না।

    সরকারী খাসভুমি দখল করে প্রতিষ্টিত মাদ্রাসার কোন অনুমোদন সহ বাৎসরিক হিসাব-নিকাশ -উপদেষ্টা সদস্যদের কোন তালিকার কাগজপত্র দেখাতে পারেন নাই। প্রিন্সিপাল মাও:ইদ্রিস আলী আরো বলেন চাউরুলী জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার উপদেষ্টা মন্ডলীর সভপতি হাজী আব্দুল মনাফ মাষ্টার দওগ্রাম, সদস্যরা হলেন দেওয়ান মিসবাউর মজিদ কালাম রাজনগর,ফয়সল আহমদ,সহিদুর রহমান রকিব দওগ্রাম, আব্দুস সহিদ। বলতে পারেন রাজনগর উপজেলার দত্ত গ্রাম ক্বারী ফরিদ উদ্দিন এতিম খানা প্রতিষ্টানের পরিচালনা কমিটির সদস্যরা চাউরুলী জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার উপদেষ্টা, মাদ্রাসার কাগজপত্র তাদের কাছেই রয়েছে । অনেক প্রশ্নের উত্তর বর্তমান প্রিন্সিপাল মাও:ইদ্রিস আলী সুকোশলে এড়িয়ে যান।

    খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ২০০৫ সাল থেকে এখন পযর্ন্ত এই মাদ্রাসার কোন কাগজ পত্র নেই, রেজেষ্টশন চারাই এই মাদ্রাসা চলছে। চাউরুলী জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার মেনেজীং কমিটির সভাপতি হাজী মাহমুদ মিয়া সহ চাউরুলী গ্রামের ওয়ার্ড জামাতের নেতারা কমিটিতে রয়েছেন । মাদ্রাসার মেনেজীং কমিটির মিটিং এর বাহানা দিয়ে গোপন বৈঠক করেন বলে জানান এলাকার কয়েক জন মুরব্বী।
    এব্যাপারে টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ টিপু খান জানান চাউরুলী জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার বিষয়ে আমার কানে কিছু কথা এসেছে তবে পরিস্কার কিছু আমার জানা নেই। মাদ্রাসায় চিঠি দিয়ে বলবো মাদ্রাসার কার্যকম আমাদের জানানোর জন্য।