মনোচিকিৎসাবিদ মেজর হাসান ১৩ মার্কিন সেনা সদস্য হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত

    0
    234

    আমার সিলেট ডেস্ক, ২৪ আগস্ট : মার্কিন সেনাবাহিনীর মনোচিকিৎসাবিদ ৪২ বছর বয়সী মেজর হাসান ১৩ মার্কিন সেনা সদস্য হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ২০০৯ সালে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এক সেনা ছাউনিতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। হাসানের বিরুদ্ধে আনিত সব গুলো অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হোন।

    মেজর নিদাল হাসানের বিরুদ্ধে ১৩ টি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা ও ৩২ টি হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিলো। সব গুলো অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হোন। তার মৃত্যু দন্ড হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী সোমবার দন্ড ঘোষণা হতে পারে। ১৩ সদস্যর গ্র্যান্ড জুরি বিচারককে সুপারিশ করবে হাসানকে মৃত্যুদণ্ড দেবার। যদি জুরিরা এ দন্ড প্রদানে রাজী না হয় তবে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হবে।

    মেজর হাসান আদালতকে বলেছিলেন, তিনি নিরস্ত্র মার্কিন সৈন্যদের ওপর গুলি চালিয়েছেন। নিহত ওইসব সৈন্যরা আফগানিস্তানে তালেবান সন্ত্রাস প্রতিরোধে নিয়োজিত ছিলো। ১৯৬১ সাল থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কর্মরত কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। ইতিপূর্বে ৫ জন সেনা মৃত্যুদণ্ড পেলেও বিভিন্ন ধরনের আপিলে তাদের মৃত্যুদণ্ড রদ হয়ে যায়। ফোর্ত লিভেনওর্থ, ক্যানসাসের মামলা গুলোর এমন অবস্থা ছিলো।

    উল্লেখ্য, কোনো মার্কিন সেনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে শেষ বাধা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি ।তিনি অনুমতি না দিলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায় না। বিবিসি অনলাইন রায় পড়ার সময় মেজর হাসানের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। মেজর হাসান ভার্জিনিয়াতে এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। রায় পড়ার সময় নিহত ও আহত মার্কিন সেনা পরিবারের সদস্যদের কান্নারত অবস্থায় দেখা যায়।