প্রধানমন্ত্রী চিয়াংমাইয়ে পৌঁছেছেন : লাল গালিচা সংবর্ধনা

    0
    251
    প্রধানমন্ত্রী চিয়াংমাইয়ে পৌঁছেছেন : লাল গালিচা সংবর্ধনা
    প্রধানমন্ত্রী চিয়াংমাইয়ে পৌঁছেছেন : লাল গালিচা সংবর্ধনা

    ঢাকা, ১৯ মে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিয়াংমাইয়ে পৌঁছেছেন। দ্বিতীয় এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় পানি সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সরকারি সফরে আজ রবিবার বিকেলে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাইয়ের পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর একটা ৩০ মিনিটে চিয়াংমাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবতরণ করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে পৌঁছালে থাই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তা মিসেস স্যাম স্যানি এবং থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তাকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রাসহ ম্যান্ডারিন অরিয়েন্টাল দাহরা দেবী হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’দিনের সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন।
    এর আগে বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া এগারোটায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং সংসদের চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। এছাড়া কেবিনেট সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, তিন বাহিনী প্রধানগণ, ঢাকায় থাই রাষ্ট্রদূত এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২১ মে সকালে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
    থাইল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক শহর চিয়াংমাইতে ২০ থেকে ২১ মে এ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী চিয়াংমাই ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন এন্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ২০ মে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। তিনি সম্মেলনের ওয়ার্কিং ব্রেকফাস্টে যোগ দিবেন। সফরকালে ২০ মে তিনি থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। এছাড়া তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুং হং ওন এবং আরো কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চিয়াংমাই অঞ্চলের ঐতিহাসিক স্থান উইয়াঙ কুম কাম পরিদর্শন করবেন এবং সম্মেলনে যোগদানকারী প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন।
    এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তার জন্য আঞ্চলিক পানি সমস্যা সমাধানে ২০০৬ সালের মার্চে ‘এশিয়া প্যাসিফিক ওয়াটার ফোরাম (এপিডব্লিউএফ)’ গঠিত হয়। এপিডব্লিউএফ ২০০৭ সালে জাপানের বেপপুতে প্রথম এশিয়া-প্যাসিফিক ওয়াটার সামিটের (এপিডব্লিউএস) আয়োজন করে। দ্বিতীয় এ সম্মেলন পানি সমস্যা ও এ অঞ্চলের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ এবং তা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নেতাদের একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ও প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে।
    পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং জরুরি পানি নিরাপত্তা বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন ও আলোচনায় অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, সিনিয়র কর্মকর্তা এবং জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া ও কারিগরি বিশেষজ্ঞরা এ সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।