প্রতি বিপ্লবী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে:ওয়ার্কার্স পার্টি

    0
    497

    আমার সিলেট  24 ডটকম,অক্টোবর বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো বিএনপি-র নেতৃত্বাধীন আঠারো দলের হরতালে বিএনপি ব্যাপক সহিংসতা, প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের উলে¬খ করে বলেন, এটা কোনক্রমেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ নয়। বস্তুত: বাংলাদেশকে একাত্তরের পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জামাত-জঙ্গীবাদী মহল যে প্রতিবিপ¬বী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করছে তারই প্রতিফলন। আজ পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় বর্তমান পরিস্থিতির উলে¬খ করে বলা হয়, এটা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত নিছক একটি রাজনৈতিক সংকট নয়, বস্তুতঃ বাংলাদেশ একাত্তরের বিজয়কে ধরে রাখতে পারবে কিনা, নাকি বিয়ালি¬শ বছর পর জামাত-জঙ্গিবাদীদের কাছে তার পরাজয় হবে সেটাই নির্ধারিত হতে চলেছে।

    দুভার্গ্যজনক হলেও সত্য জামাত-জঙ্গিবাদী চক্র যে প্রতিবিপ¬বী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চলেছে তাতে নেতৃত্ব প্রদান করছেন বিরোধীদল নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এর জন্য তিনি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সকল উদ্যোগকেই অস্বীকার করে চলেছেন। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় বলা হয় নির্বাচনকে বানচাল করে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরিই বিএনপি-জামাত আন্দোলনের লক্ষ্য। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় এর বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধকে আরও দৃঢ় করতে সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, শ্রেণী পেশার সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মলি¬, পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস, কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা, কমরেড নুরুল হাসান, কমরেড শুশান্ত দাস, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড নুর আহমদ বকুল, কমরেড কামরূল আহ্সান প্রমুখ।

    ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো এই জনপ্রতিরোধকে দৃঢ় করা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য ১ নভেম্বরের ১৪ দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করার পাশাপাশি আগামী ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে কর্মী ও জনজমায়েতের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পলিটব্যুরোর সদস্যগণ ১ নভেম্বর থেকে জেলাসমূহ সফর করবেন। এই কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ৪ নভেম্বর বরিশাল, ৯ নভেম্বর দিনাজপুর, ১১ নভেম্বর নাটোরে কর্মী ও জনসভার কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    ওয়ার্কার্স পার্টি এর পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদবিরোধী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথেও বৈঠক করে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছেন। সে অনুসারে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও পলিটব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস আজ বিকাল ৫টায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করবেন। আগামীকাল ৩০ নভেম্বর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, রুখে দাড়াও বাংলাদেশ, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগঠনের সাথেও বৈঠক করবেন।