পিতা-পুত্রের উদ্যোগে শ্রীমঙ্গলে ‘পথকলি একাডেমী’

    0
    433

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০আগস্টঃ  শ্রীমঙ্গলের ইসমাইল মাহমুদ একজন পেশায় সাংবাদিক, সাংবাদিকতা পেশার সাথে সাথে তিনি শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসেবে উপজেলার নানামহলে বেশ পরিচিত। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন।তিনি স্থানীয় একটি প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি।

    তাছাড়া তিনি শহরের পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির দ্বিতীয় দফায় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় শিক্ষাপদক ২০১৬-তে ইসমাইল শ্রীমঙ্গল উপজেলার শ্রেষ্ঠ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। শিক্ষার নিবেদিতপ্রাণ ইসমাইল মাহমুদ চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু করেছেন পথ শিশুদের নিয়ে। তিনি তাঁর পুত্র ইফতেখার মাহমুদ মাহিনের পরিচালনায় শহরের জালালিয়া সড়কস্থ বাসায় গড়ে তুলেছেন ‘পথকলি একাডেমী’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ‘শিক্ষাকে তুমি করো নাকো ভয়, একদিন তোমার হবে হবেই জয়’ এ স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ‘পথকলি একাডেমী’ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত তথা পথশিশুদের স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন করার কাজ শুরু করে।

    তিনি জানান,চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে প্রতি শুক্রবার বিকেলে ২ ঘন্টা পথশিশুদের স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ইসমাইল মাহমুদ।
    শিক্ষানুরাগী ইসমাইল মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া কোন জাতির উন্নয়ন কল্পনাও করা যায় না। তাই দেশ ও জাতির উন্নয়নে প্রথমেই প্রয়োজন শিক্ষার উন্নয়ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন কোন শিশু থাকবে না বিদ্যালয়ের বাইরে।

    তথাপিও এখনো আমাদের সমাজে অনেক সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু রয়েছে যারা সারাদিনমান রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ায়। তাদেরকে সুপথে আনতে নুন্যতম শিক্ষার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ আমি নিয়েছি। আমার পুত্র অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফল প্রত্যাশী ও মডেল একাডেমীর শিক্ষক ইফতেখার মাহমুদ মাহিন আমার সাথে একাত্ম হয়ে এ পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা পথশিশুদের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে নিয়ে বৈঠক করেছি। মাত্র কয়েকদিনের পরিশ্রমের ফসল আমরা পেয়েছি। প্রায় ২০ জন পথকলিকে নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যাত্রা শুরু হয়েছে পথকলি একাডেমীর। আমরা নিজ অর্থায়নে ওই শিশুদের খাতা-কলম-পেন্সিল-রাবার-কাটার ক্রয় করে দিয়েছি।

    প্রতি শুক্রবার যেহেতু দুই ঘন্টার শ্রেণি কার্যক্রম চলবে তাই ওই সময়ে তাদের জন্য সামান্য নাস্তারও ব্যবস্থা আমরা করছি। এছাড়া তাদের মানসম্মত পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য মাহফুজ সুমন। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সবাই যদি এভাবে একটু একটু করে এগিয়ে আমি তবে দেশ ও জাতির ইস্পিত উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভব।’