নবীগঞ্জে ৩০ মিনিট  পরপর লোডশেডিংএ  মানুষের নাভিশ্বাস

0
70

নূরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধি: আবারও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নামে নবীগঞ্জ শহরজুড়ে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের  লোডশেডিং।  দিন নেই রাত নেই ২৪ ঘণ্টায় কম করে হলেও ৮ /১০বার লোডশেডিং করা হচ্ছে। একেতো ভ্যাপসা গরম, তার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ফলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দিনের পাশাপাশি রাতেও সমানতালে লোডশেডিং করা হচ্ছে।

ফলে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ গরমে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বারবার  নবীগঞ্জ  পল্লী বিদ্যুৎকে ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করে না।
কিন্তু আবারও দিনে রাতে মিলিয়ে ৮-১০ ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা। অনেকেই বলছেন, ঘন ঘন বিদ্যুতের উঠানামার কারণে বেশি পরিমাণ ইউনিট কাটা হচ্ছে। যে কারণে প্রতিটি কার্ডই নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টিকে  পল্লী বিদ্যুতের অদায়িত্বশীল আচরণ বলছেন গ্রাহকরা।

গত দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  তুলোধুনো করে প্রতিবাদ করছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই বলছেন, লোডশেডিং করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু নবীগঞ্জ  শহর জুড়ে অসংখ্য ব্যাটারিচালিত টমটম আর অটোরিকশা চার্জের গ্যারেজ গুলো ঠিকই চলছে। গত শীত মৌসুমে মানুষজন অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করায় লোডশেডিং তেমন একটা ছিলো না। এখন গরম এসেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে গরম অন্য বছরের তুলনায় বাড়ছে। কিন্তু লোডশেডিং কমছে না। এর পেছনে টমটম ও অটোরিকশার চার্জ দেয়াকে দায়ী করছেন অনেকে। একদিকে গরম ও অন্যদিকে লোডশেডিং করায় অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ বিকল্প উপায় হিসেবে চার্জার ফ্যানের দিকে ঝুঁকছেন। এ সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা এখন চার্জার ফ্যানের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে।
জানা যায়, দেশব্যাপী চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। এর মধ্যে নবীগঞ্জ  জুড়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গরমে। বিদ্যুৎ অফিস থেকে শিডিউল দেয়া হলেও তারাই মানছে না নিয়ম। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার, তারাবিহ নামাজ কিংবা সাহরি সব সময়ই নেয়া হতো বিদ্যুৎ।
গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যুৎ অফিসে এলাকাবাসী একাধিকবার ফোন দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলেও কেউ রিসিভ না করায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। পল্লী বিদ্যুতেরও অবস্থা তো আরও ভয়াবহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here