
সানিউর রহমান তালুকদার ও নুরুজ্জামান ফারুকীঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে এক মুক্তিযোদ্ধার মৎস্য ফিশারীতে অবস্থিত পাহারাদারের ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে ধর্ষণে ব্যার্থ হয়ে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার গুঁঙ্গিয়াজুড়ি হাওরের নোয়াগাঁও গ্রামের রোক্কা বিলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত স্বামী-স্ত্রীর বাড়ি উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল পূর্বপাড়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশের সুত্রে জানা যায়, সাতাইহাল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন (বীরপ্রতীক) এর মালিকানাধীন মৎস্য ফিশারী উপজেলার গুঁঙ্গিয়াজুড়ি হাওরের নোয়াগাঁও গ্রামের রোক্কা বিলের পাশে অবস্থিত। সেই ফিশারী দেখা-শোনা করে আসছিলেন আবুল মিয়া ও তার স্ত্রী ঝারু বেগম। এবং ওই ফিশারীর কিনারেই একটি ঘরে আবুল ও তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল দিবাগত রাতেও তারা নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ৮-১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দাড়াঁলো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গভীর রাতে তাদের বসত ঘরে হামলা চালায়। এ সময় স্ত্রী ঝারু বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে স্বামী আবুল মিয়া বাঁধা দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দুর্বৃত্তরা। এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। পরে তাদেরকে মৃত ভেবে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে ছুটে যান। পরে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে গুরুতর আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গুরুতর আহত স্বামী-স্ত্রীর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাড়াঁলো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাত রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন (বীরপ্রতীক) বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমদ জানান, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এছাড়া অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।