দেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে লকডাউন মেয়াদ

0
711
দেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে লকডাউন মেয়াদ
দেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে লকডাউন মেয়াদ

মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ চলছে। জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। সে হিসেবে চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার পর ঈদের আগে সরকারি অফিস খোলার সুযোগ থাকবে মাত্র তিনদিন। সেই সময়ে আর অফিস খুলতে চাচ্ছে না সরকার। তবে গণপরিবহন ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল শুরুর জন্য চলছে শ্রমিক সংগঠনের আন্দলন।অপরদিকে এ বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পর্যালোচনা চলছে। সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন হতে যাচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরু হবে ১২ মে থেকে। আগামী ৫ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে ৬ (বৃহস্পতিবার), ৯ (রোববার) ও ১১ মে (মঙ্গলবার)। ৭ ও ৮ মে হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এরপর ১০ মে (সোমবার) হচ্ছে পবিত্র শবে কদরের ছুটি।

রামাদ্বান মাস ২৯ দিনে হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এ ক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মে (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে।
তবে রমজান মাস ৩০ দিন হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মে (শনিবার) ছুটি থাকবে। এ অবস্থায় চলমান লকডাউন ঈদের ছুটি পর্যন্ত গড়াবে বলে জানা গেছে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সংশ্নিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সুত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদের আগে সরকারি অফিস, আদালত না খোলার বিষয়ে ভাবছে সরকার।

এবারের লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। গত ২৯ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করার একটা চিন্তা সরকারের ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় সেই চিন্তা বাদ দিয়েছে সরকার। আগামী এক সপ্তাহে পরিস্থিতির উন্নতি হলে ঈদ কেন্দ্রিক গণপরিবহন চালুর একটা চিন্তাভাবনা সরকার করতে পারে। কারণ বিধিনিষেধ সত্ত্বেও মানুষ বাইরে বের হচ্ছে, শপিং মলে যাচ্ছে। প্রাইভেট কারে করে আন্তঃজেলা যাতায়াতও করছে। তাই করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে এক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চালুর সুযোগ দিতে পারে সরকার।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ৫ মে’র পর কী করব এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। কোনো কিছুই চূড়ান্ত করা হয়নি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। ভারতের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের করণীয় ঠিক করতে হবে।