জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করাসহ জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রতিরোধের লক্ষ্যে ‘বৃহত্তর গণঐক্য’ গড়ে তুলতে চায় ২৩ সংগঠন

    0
    427

    জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রতিরোধের লক্ষ্যে ‘বৃহত্তর গণঐক্য’ গড়ে তুলতে চায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ ২৩ সংগঠন। গতকাল শনিবার হরতাল শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
    সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ডাকা হরতাল সফল হয়েছে। তিনি বলেন, বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে। ১১ এপ্রিল শতাধিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করে ঢাকার কমিটি গঠন করা হবে। ৩ মে এই কমিটির প্রথম জাতীয় সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
    নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘সারাদেশে হরতাল সফল। কোনো বাস ঢাকায় আসেনি। কোনো বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়নি। আমাদের হরতালে কোথাও কোনো সহিংসতা হয়নি। কোথাও জ্বালাও-পোড়াও হয়নি। মানুষ শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই হরতাল পালন করে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’
    সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এবারের পয়লা বৈশাখ আরও আড়ম্বরের সঙ্গে পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘নববর্ষকে আমরা ঐক্যের প্রতীকে পরিণত করতে পারি।’ সব অর্জনকে এক করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পথের সব জঞ্জাল সরিয়ে দিতে হবে।’
    ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমাদের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে। হরতালে আমরা কোনো পিকেটিং করিনি। মহাখালীতে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ওপর হামলা হয়েছে। আমাদের রক্ষা করতে গিয়ে ২০ জন তরুণ কর্মী আহত হয়েছেন।’
    সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামেন্দু মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, মুনতাসীর মামুন, মফিদুল হক, হাসান আরিফ, মুহাম্মদ সামাদ, কাজী মুকুল, কাজী ফারুক, আসাদুল হকসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
    হরতাল চলাকালে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজপথে মূলত রিকশা চলছে। বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি একেবারেই চলাচল করেনি। এ ছাড়া গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ ছিল। এ ছাড়া ঢাকায় গতকাল কোনো ট্রেনও আসেনি। ‘নাশকতার আশঙ্কায়’ কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার রাত থেকে ১৮টি ট্রেন বাতিল করেছিল।
    হরতালের সমর্থনে গতকাল সকাল থেকে আহ্বানকারী সংগঠন এবং গণজাগরণ মঞ্চ পৃথক মিছিল বের করে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ ২৩টি সংগঠন এ হরতাল ডেকেছিল। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, গণজাগরণ মঞ্চ, বাম দলগুলোসহ বেশ কয়েকটি দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এতে সমর্থন জানায়।