ছাতকের ফারুক অপহরনের ২২ঘন্টা পর উদ্ধারঃগ্রেফতার-৩

    0
    288

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৪এপ্রিল,ছাতক প্রতিনিধিঃ   সিলেটের জিন্দাবাজার থেকে অপহরন হওয়া ফারুক আহমদ (২৪) কে প্রায় ২২ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ অপহরণকারিদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে কাষ্টঘর এলাকা থেকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির এস আই বিপ্লব অভিযান পরিচালনা করে অপহরনকারিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    জানা যায়, ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ফুরকানচক গ্রামের আরশ আলীর ছেলে ফারুক আহমদ ক’দিন আগে তার বড় ভাইয়ের ভাড়াটিয়া বাসায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ব্যক্তিগত কাজে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট শহরের বন্দরবাজার এলাকায় গেলে রাতে আর বাসায় ফিরেনি। এর পর থেকে সে নিখোজ হয়।

    ওইদিন ০১৭২৫-৪৭৭২৯৫/০১৭৬১-৩৯৫১১৬ মোবাাইল নম্বার থেকে সিরাজুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৭৩৪-১২৬১৫৫ নম্বারে ফোন করে অপহণের বিষয়টি অবহিত করে বিকাশ নম্বারে মুক্তিপন হিসেবে ২০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারিরা।

    এ বিষয়ে ওইদিন নিখোজ ফারুক আহমদের বড় ভাই লুৎফুর রহমান কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এর সূত্র ধরে সহকারি পুলিশ সুপার সাদেক কাওছার দস্তগীর অপহরণকারিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। এক পর্যায়ে তিনি বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির এস আই বিপ্লবকে অভিযানে পাঠিয়ে দেন।

    এদিকে অপহরনকারিদের হাতে সরাসরি মুক্তিপনের টাকা পাঠিয়ে দেয়ার জন্য আলাপ করে নিখোজের এক ভাই। মুক্তিপনের ১০হাজার টাকা অগ্রিমও দেয়া হয়। অপহৃতাকে ফেরত দিলে কথামত বাকি সব টাকাগুলো দেয়া হবে মর্মে মোবাইল ফোনে সিদ্ধান্ত হয়। মুক্তিপনের টাকা গ্রহণ করে তাকে ছেড়ে দিবে এমন কথা বলে অপহরনকারিরা মধুবন, জেল রোর্ড, কালিঘাট, কাস্টঘরসহ বিভিন্ন স্পটে যাওয়ার জন্য বলে। অবশেষে অবশান ঘটে কাষ্টঘর এলাকায়।

    শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে কাষ্টঘর এলাকায় মুক্তিপনের টাকা গ্রহণ করে তাকে তার ভাই সিরাজের হাতে তোলে দিতে এসে মহাজন পট্রির সোহেল (২০),  সুনামগঞ্জের শাহিন (২৭) ও জগন্নাথপুরের সৈয়দ নাজমুল (২৮) নামের তিন অপহরণকারি পুলিশের এস আই বিপ্লবের কাছে ধরা পড়ে। গ্রেফতারকৃতরা এর আগেও সিলেট শহরে একাধিক অপহরণ, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

    উদ্ধার হওয়া ফারুকের বড় ভাই লুৎফুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মুক্তিপনের টাকার জন্য বন্দরবাজার এলাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ছাতকের দোলারবাজার ইউনিয়নের কুর্শী গ্রামের সাজু ওরফে ছুনু, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বীরগাঁও গ্রামের ছবুরসহ ৫জন অপহরণকারিরা।

    তাকে কালিঘাট এলাকায় একটি ম্যাচে হাত-পা বেঁধে ব্যাপক মারধর করে আহত করেছে। সহকারি পুলিশ সুপার সাদেক কাওছার দস্তগীরের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, উনী খুব ভাল মানুষ। যার প্রচেষ্টায় তিনি তার ভাইকে ফেরত পেয়েছেন।