চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দরের সড়ক বন্ধ॥আমদানিকারকদের মাঝে প্রতিক্রিয়া॥ বিভাগীয় কমিশনারের পরিদর্শন

    0
    461

    চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দরের সড়ক বন্ধ॥আমদানিকারকদের মাঝে প্রতিক্রিয়া॥ বিভাগীয় কমিশনারের পরিদর্শন

    এস. এম. সুলতানখান, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ), ০৩ মে:

    হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরের সড়কটি উপজেলার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এলাকার কথিত নেতারা পিলার ঘেরে বন্ধ করে দেয়। ফলে আমদানিকারকদের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। দীর্ঘদিনের বাংলাদেশ সীমান্তের বাল্লা স্থলবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশ-ভারতের আমদানিকারকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় আমদানিকারক মোঃ জাবেদ খানসহ অন্যান্যরা বিভাগীয় কমিশনারকে অবহিত করেন। গতকাল বৃহ¯পতিবার দুপুর ১২টায় বিভাগীয় সহকারী কমিশনার খাইরুল আলম বাল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা স্থলবন্দরের রাস্তার প্রবেশমুখ আসামপাড়া বাজারের পূর্বদিকে কুটি ঘেরে বন্ধ করে দেওয়া রাস্তাসহ বাল্লা চেকপোস্ট ও কেদারা কোট সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, আসামপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক মাস্টার ও লাল মিয়া তাদের যোগসাজসে বাল্লা স্থলবন্দরের প্রবেশমুখে পাকা কুটি ঘেরে বন্ধ করে দিয়েছেন। কমিশনার এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাস করলে এ তথ্য বেড়িয়ে আসে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই রাস্তা বন্ধ মাস্টার করেনি। এলজিইডি কর্তৃক রাস্তাটি বন্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, বেশ কয়েক মাস পূর্বেও ওই নেতারা সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক আটক করে স্থলবন্দর রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছিল। এ সময় ব্যবসায়ী ও এলাকার লোকজনের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসনের হস্তেেপ সড়ক খুলে দেওয়া হয়েছিল। এতে ৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। এখন স্থলবন্দর নিয়ে ভারত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে একই প্রশ্ন বাল্লা সীমান্ত দিয়ে কি সরকার বাণিজ্য করবে?। এ ব্যাপারে লাল মিয়ার বিরুদ্ধে কোর্টে ৭ ধারা মামলা রয়েছে। এলাকার শ্রমিকরা জানায়, ‘ওই আমদানি ব্যবসা হওয়ায় আমরা শ্রমের বিনিময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জীবিকা নির্বাহ করতে পারছি।  যদি স্থলবন্দরের ব্যবসা বন্দ হয়ে যায় তাহলে জীবিকা নির্বাহ করতে আমাদের কঠিন হয়ে দাড়াবে।’UNO Photo30042009309