আন্দোলনের কারনে “একদিকে চা বাগানগুলোতে কোটি টাকার কাঁচামাল নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে দৈনিক হাজিরায় মুজুরির শ্রমিক ও তাদের বৃদ্ধ পিতা-মাতা,সন্তান-সন্ততিরা ধুঁকছে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে”
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চা শ্রমিক নেতারা মালিক পক্ষের প্রস্তাবে কোন সাড়া দেয়নি অপরদিকে বাগান মালিক পক্ষ ও এগোচ্ছেনা মুজুরি বাড়াতে।ফলে আলোচনা টেবিল থেকে সমাধানের সম্ভাবনা দির্ঘায়িত হচ্ছে।
এরই মধ্যে বুধবার ১৭ আগষ্ট বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বসা বৈঠকে ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দেওয়া শেষ বক্তব্য থেকে জানা যায়, তিনি বলেন এখনো সমাধান হয়নি তবে আমরা আশা করছি আবার বসলে হয়তো আমরা সমাধানের কাছে পৌছাতে পারবো। এরই মধ্যে চা শ্রমিক ও বাগান মালিক ও অধিদপ্তরের ত্রিমুখী বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে দফায় দফায়।
আন্দোলনের কারনে “একদিকে চা বাগানগুলোতে কোটি টাকার কাঁচামাল নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে দৈনিক হাজিরায় মুজুরির শ্রমিক ও তাদের বৃদ্ধ পিতা-মাতা,সন্তান-সন্ততিরা ধুঁকছে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে”
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ জানান, বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, মালিকপক্ষ বৈঠকে যে মজুরি প্রস্তাব করেছেন সেটি ৩০০ টাকার ধারেকাছেও নয়। এটি গ্রহণ যোগ্য নয়।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে তারা ২০ টাকা যোগ করেন মোট দাঁড়ায় মুজরি ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন।এতে আমরা রাজি নয়। তাই আমরা তাদের এই প্রস্তব প্রত্যাখান করেছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, শ্রমিকপক্ষ আমাদের কাছে ২ দিনের সময় নিয়েছেন। তারা পরে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, আমরা কোনো সময় নেইনি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছিল। ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমরা এই ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছি। সরকারের ডাকে আমরা বৈঠকে এসেছি। আবার ডাকলে আবার আসব।