গ্রেপ্তার হলেই ভূয়া সাংবাদিকের তকমা,শিরোনাম দেয় ভূয়া পত্রিকা !

0
611
গ্রেপ্তার হলেই ভূয়া সাংবাদিকের তকমা,শিরোনাম দেয় ভূয়া পত্রিকা !
  • সম্প্রতি অনলাইন গণমাধ্যমের টুটি ধরতে নানা ফন্দী ফিকির করে যাচ্ছে কিছু অসাধু মিডিয়া সংশ্লিষ্ট কর্মিরা। তিলকে তাল বানিয়ে পত্রিকার ঘাটতি কাটাতে তুচ্ছ তুচ্ছ ঘটনাকে পুলে ফাপিয়ে ভুয়া,ধর্ষণ,নির্যাতন,প্রতারণা শব্দ গুলো লাগিয়ে বহু লোকের ইজ্জতকে বাজিরেখে অর্থনৈতিক বা শুধুমাত্র বিশেষ কারো চোখে বাহবাহ কুঁড়াতে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সমাজসেবকদের কলঙ্কিত করছে।
  • তবে সকল ক্ষেত্রেই অপসাংবাদিকতার বিচরণ যে নেই তা বলবনা ছদ্মবেশীদের আনাগোনা নেই তাও বলার সুযোগ নেই।
    এবার আসি মুল কথায়,একজন সাংবাদিক যে মিডিয়ায় কর্মরত, হতে পারে কোনো অনলাইন,প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া,যিনি যেই পত্রিকা বা মিডিয়ার সংবাদ নিয়ে কাজ করেন তিনি সেই মিডিয়ার সম্পাদক, সংবাদদাতা,প্রতিনিধি, রিপোর্টার বা যে পদ পদবীর-ই হউক সবাই ওনারা সংশিষ্ট মিডিয়ার সাংবাদিক।
  • দেশে বর্তমানে দু’হাজারের বেশি প্রিন্ট মূলধারার গণমাধ্যম রয়েছে। সব গুলি গণমাধ্যমের নাম একজনের পক্ষে জানা অসম্ভব,বেশ কিছু অনলাইন নিবন্ধ পেয়েছে আরো অনেক অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধের জন্য আবেদীত (তাদের অবৈধ ঘোষণা করা হয়নি )। এখন মূল কথা হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকরা কি ভূয়া সাংবাদিক নাকি প্রতিষ্ঠান গুলি ভূয়া ?
  • যদি কোন প্রত্রিকা বা সংবাদ প্রতিষ্ঠান ভূয়া হয় তাহলে ঐসব সংবাদ প্রতিষ্ঠানের (পত্রিকার) সাংবাদিকদের ভূয়া বলা যাবে।
    অন্যথায় অনলাইন প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ এসব গণমাধ্যমে কর্মরত কোনো সাংবাদিককে ভূয়া বলা সম্পূর্ণ আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিমতা ও ক্ষুদ্র জ্ঞানে
    জানামতে শতভাগ অযৌক্তিক ও প্রতিহিংসার স্বরূপ!
    একজন সাংবাদিক যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তাদের প্রতিষ্ঠান যদি ভূয়া হয় তখন সেই সংবাদকর্মী ভূয়া হতে পারে তবে যদি ঐসব সংবাদ মাধ্যমে ভূয়া হয় তাহলে সেই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ নয় কেন! নাকি অদৃশ্য কারনে আকাশ কুসুম ?
  • শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে অযৌক্তিক লাইভ বা কোন ক্রাইম নিউজ করায় অথবা সংবাদ প্রকাশ করায় তার প্রতিঘাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আইনি মারপেছে যে কোনো ধরনের মামলা হলে সংশ্লিষ্ট সংবাদদাতা বা সংবাদকর্মীরা ভূয়া হয়ে যায় না।
    কিন্তু এমন সংবাদ হরহামেশাই দেখা যায় প্রকৃত সাংবাদিক হলেও কিছু জনপ্রিয় মিডিয়া ভূয়া সাংবাদিক গ্রেফতার শিরোনাম দিয়ে সঠিক অনুসন্ধান না করে সংবাদ প্রকাশ করে ফেলেন যা একজন সাংবাদিকের জন্য পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি লজ্জাজনক প্রভাব ফেলে যা খুবই দুঃখজনক।
    মামলা সবার নামেই হয়(পুলিশ,বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা,জনপ্রতিনিধি,শিক্ষক,মৌলভী,ডাক্তার,সমাজ সেবক,সরকারি বেসরকারি যে কেউ হতে পারে) যারা অপরাধ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ যৌক্তিক।
  • তবে যে ভূয়া সাংবাদিক নয় তাকে ভূয়া বলার অধিকার কোনো পত্র পত্রিকা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ কারোর নেই,যদিও হরহামেশাই এমন ঘটনা ঘটছে এর যথেষ্ট প্রমান রয়েছে গুগল প্লাটফর্মে।
    যারা একজন প্রকৃত সাংবাদিককে ভূয়া বলে সংবাদ লিখে তারা যুক্তি বিদ্যার এক তর্কে আসলে সম্পূর্ণ ভূয়া পত্রিকার মালিক।
  • একজন ভূয়া পুলিশ,ভূয়া চেয়ারম্যান,ভূয়া ম্যাজিষ্ট্রেট বলতে কি বুঝি আমরা?
    একজন নিজেকে পুলিশ,চেয়ারম্যান,ম্যাজিষ্ট্রেট বলে পরিচয় দিচ্ছে কিন্তু সে আসলে পুলিশ,চেয়ারম্যান,ম্যাজিষ্ট্রেট নয় তখন সে ভূয়া।
  • তাহলে যে ব্যক্তি বছরের পরে বছর সংবাদ পত্রের সাথে সম্পৃক্ত সেই ব্যক্তি কি করে ভূয়া সাংবাদিক হয় এবং পত্রিকার শিরোনাম আসে ” ভূয়া সাংবাদিক গ্রেফতার”” এসব অযৌক্তিক শিরোনাম দাতা পত্রিকা গুলিকে ভূয়া পত্রিকা বললে একেবারে তাদের প্রাপ্য কর্ম কান্ডের কারনে ভুল হবে বলে মনে হয় না।
  • আমি উক্ত বিষয়ে বোধগম্য নয় এবং ক্ষুদ্র জ্ঞানে আসলেই বিষয়টি চিন্তা করলে খুবই আশ্চর্য জনক মনে হয়,কোনো সাংবাদিক গ্রেফতার হলে সেই সংবাদ কর্মীর বিষয়ে কোনো খোঁজ খবর না নিয়ে অনেক কথিত জাতীয় দৈনিক থেকে শুরু করে বহুল জনপ্রিয় কথিত পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় অমুক ভূয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার!
  • আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে জানামতে ভূয়া সাংবাদিক বলা যেতে পারে যারা কোনো সংবাদ পত্রিকায় কাজ করে না বা কোনো মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত না কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে বা দেয় তাদের ভূয়া বলা যায়।
  • আমাদের সংবাদের শিরোনাম গুলি পরিবর্তন প্রয়োজন সংবাদ শিরোনামে ” ট্যাবলেটসহ অমুক পত্রিকার সাংবাদিক গ্রেফতার/লাইভের নামে আইনি কাজে বাধা সাংবাদিক গ্রেপ্তার/মাদক সহ অমুক পত্রিকার সাংবাদিক আটক ,সাংবাদিক অমুক মামলায গ্রেপতার, লিখলে লজ্জাজনক প্রভাব পরে সংশ্লিষ্ট সংবাদ শিরোনাম কারকদের উপর কারন পেশায় তিনিও একজন সাংবাদিক!
  • কিন্তু সংশিষ্ট সম্পাদকগন এক সাংবাদিক সত্য না মিথ্যা মামলা ফেঁসেছে সেদিকে খোঁজখবর নেয় না।
    গ্রেফতার হলেই পরে ভূয়া সাংবাদিক শিরোনাম দেয় যারা,তাদের পত্রিকাকে ভূয়া পত্রিকা বলা একেবারেই অযৌক্তিক কি ? (প্রকৃত সাংবাদিক যদি ভূয়া হয় পত্রিকা ভূয়া! )
  • জানামতে ভূয়া সাংবাদিক বলা যেতে পারে যারা কোনো সংবাদ পত্রিকায় কাজ করে নি কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে তাদের ভূয়া বলা যায়।
  • ভূয়া সাংবাদিক না লিখে অমুক কর্মকান্ডে অমুক প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক গ্রেফতার বলা যেতে পারে তবে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে যখন কোনো সাংবাদিকের নামে কোনো কারনে সত্য বা মিথ্যা মামলা রুজু হয় তখন!
  • যে সঠিক তার পক্ষে সত্যর সাথে আর সত্য কথা বলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করলে অবশ্য অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ বিভিন্ন লোকজনদের সাথে কারন বসতে তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে হয়।
  • তাই তখন তাদের রোষানলে পরতে হয় সংশ্লিষ্ট সংবাদ কর্মী কে এমন নজির বহু রয়েছে।
    আমাদের দেশে বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবাদ প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে বললেই চলে যদি সরকারের মন্ত্রী এমপিরা বরাবর বলছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য করা হয় নি। অনেক সাংবাদিকদের নামে ইতিমধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে আর সেই মন্তব্য গুলি এই কারনে হাস্যকর বলেই মনে করা যায়!
    যেসব সাংবাদিকদের মামলা দেওয়া ও হয়রানির শিকার সাংবাদিকদের কথা না বলে যদি শুধু প্রথম আলোর রুজিনা ইসলামের কথা বলি তাকে এক প্রকার শারীরিক লাঞ্ছিত করে পরে মামলা টুকে দেওয়া হয় রুজিনা ইসলামের কি অপরাধ ছিল ?
    আসলে রুজিনা ইসলাম বড়ো মাপের প্রভাবশালী পত্রিকা প্রথম আলোতে কাজ করেন এজন্য সবাই ভিডিও দেখে মামলা দেওয়ার পর সাপোর্ট স্ট্যাটাস করেছেন কিন্তু এই মুহুর্তে যদি এই মামলা অন্য ছোট খাটো কোনো পত্রিকার সাংবাদিকদের টুকে দিত তাহলে মনে হয় এমনটা শিরোনাম দেখতাম ভূয়া সাংবাদিকের নামে মামলা বড়ো বড়ো পত্রিকায় প্রকাশিত হতো হয়তোবা ।
    আসলে এপর্যন্ত যত ভূয়া সাংবাদিক শিরোনাম নিউজ দেখেছি খবর নিলে পরে জানা যায় ওনারা বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তবে প্রশ্ন শিরোনামে ভূয়া সাংবাদিক কেন??!!!
    ভূয়া সাংবাদিক না লিখে অমুক কর্মকান্ডে অমুক প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক গ্রেফতার বলা যেতে পারে তবে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে যখন কোনো সাংবাদিকের নামে কোনো কারনে সত্য বা মিথ্যা মামলা রুজু হয় তখন!
  • যে সঠিক তার পক্ষে সত্যর সাথে আর সত্য কথা বলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করলে অবশ্য অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন লোকজনদের সাথে কারন বসত তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে হয় তাই তখন তাদের রোষানলে পরতে হয় সংশ্লিষ্ট সংবাদ কর্মীকে এমন নজির বহু রয়েছে আমাদের দেশে বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবাদ প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে বললেই চলে।
  • যদি ও সরকারের মন্ত্রী এমপিরা বরাবর বলছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি!!
    অনেক সাংবাদিকদের নামে ইতিমধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে আর সেই মন্তব্য গুলি সংশ্লিষ্ট কারনে হাস্যকর বলেই মনে করা যায় !
    যেসব সাংবাদিকদের মামলা দেওয়া ও হয়রানির শিকার সাংবাদিকদের কথা না বলে,যদি শুধু প্রথম আলোর রুজিনা ইসলামের কথা বলি তাকে এক প্রকার শারীরিক লাঞ্ছিত করে পরে মামলা টুকে দেওয়া হয়।যা একটি ভিডিও চিত্রের মাধ্যেমে ফুটে উঠেছে। প্রকৃত পক্ষে রুজিনা ইসলামের কি অপরাধ ছিল?
  • আসলে রুজিনা ইসলাম বড়ো মাপের প্রভাবশালী পত্রিকা প্রথম আলোতে কাজ করেন, এজন্য সবাই ভিডিও দেখে মামলা দেওয়ার পর সাপোর্ট স্ট্যাটাস করেছেন।
    কিন্তু এই মুহুর্তে যদি এই মামলা অন্য ছোট খাটো কোনো পত্রিকার সাংবাদিকদের টুকে দিত তাহলে মনে হয় এমনটা শিরোনাম দেখা যেত ভূয়া সাংবাদিকের নামে মামলা বড় বড় পত্রিকায় প্রকাশিত হতো হয়তোবা।
    আসলে এপর্যন্ত যত ভূয়া সাংবাদিক শিরোনামে নিউজ দেখেছি বেশির ভাগ সময়ই খবর নিলে পরে জানা যায় ওরা বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে প্রতিনিধি (সাংবাদিক) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here