কাঁচা চা–পাতা নষ্টের অভিযোগে ৪ চা-বাগানের শ্রীমঙ্গল থানায় জিডি

0
350
কাঁচা চা–পাতা নষ্টের অভিযোগে ৪ চা-বাগানের শ্রীমঙ্গল থানায় জিডি
কাঁচা চা–পাতা নষ্টের অভিযোগে ৪ চা-বাগানের শ্রীমঙ্গল থানায় জিডি

চা–পাতা নষ্ট হওয়ার পেছনে মালিক পক্ষই দায়ীঃবাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি

জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলের ৪ টি চা–বাগান কর্তৃপক্ষের পক্ষে শ্রীমঙ্গল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

জিডিতে শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে কাঁচা চা–পাতা নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চা–বাগান গুলোর পক্ষ থেকে আলাদাভাবে জিডি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বুধবার (১৭ আগষ্ট ২০২২) জিডির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির।

জিডি সুত্রে জানা যায়, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে কাঁচা চা–পাতা নষ্ট হচ্ছে। ধর্মঘটের কারণে রাজঘাট চা–বাগানের ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৫ কেজি, ডিনস্টন চা কারখানায় ৯৯ হাজার ২৫০ কেজি, বালিশিরা চা কারখানায় ৫০ হাজার ২০৭ কেজি, আমরাইল চা কারখানায় ৫ হাজার ৬৮৩ কেজি কাঁচা চা–পাতা নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রমিকেরা ধর্মঘট ডেকে কাজ বন্ধ রাখায় উত্তোলিত চা–পাতা প্রক্রিয়াজাত করা যাচ্ছে না। তাই এই কাঁচা পাতাগুলো কারখানায় থেকে নষ্ট হচ্ছে এবং এতে তাঁদের কোটি টাকার লোকসান মুখে পড়েছে চা বাগান গুলো।

জিডির বিষয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, ‘আজ (বুধবার ১৭ আগস্ট) ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য আমরা ঢাকায় এসেছি। এখন শুনলাম বাগান কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা বলব, এই চা–পাতা নষ্ট হওয়ার পেছনে মালিক পক্ষই দায়ী।

তিনি আরও বলেন,  আমরা আন্দোলনে যাওয়ার আগে চা বাগানে মালিক পক্ষকে মজুরি বাড়ানোর জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে আমরা টানা চার দিন মাত্র দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দিই। তখন চা–শ্রমিকেরা কর্মবিরতি করেও বাগানের সব কাজ করেছেন। দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি করেও আমরা চা–বাগানের ক্ষতি করিনি। আমাদের দাবি তখনই মেনে নেওয়া বা আমাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে মালিকপক্ষ বসলে আজকের ধর্মঘটের প্রয়োজন পড়ত না। মালিকপক্ষ ইচ্ছে করেই কালক্ষেপণ করেই চায়ের ক্ষতি করছে। গত ১৯ মাস ধরে মজুরি সমস্যার সমাধান না করে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটার জন্য মূলত বাগান কর্তৃপক্ষ দায়ী।

এর আগে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে  গত ৯ আগস্ট থেকে ৪  দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট করছেন চা–শ্রমিকেরা।

আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) বৈঠক চলাকালেও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ধর্মঘট করে দেশের প্রতিটি চা–বাগানে বিক্ষোভ–সমাবেশ ও মিছিল চালিয়ে যান শ্রমিকেরা।

উল্লেখ্য চা শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘট নিরসনে গতকাল ১৬ আগষ্ট মঙ্গলবার দিনব্যাপী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর কার্যালয়ে চা শ্রমিকনেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। বৈঠকে সেখানে কোনো সমঝোতায় না পৌঁছাতে পেরে আজ ঢাকার শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় সভার আয়োজন করে শ্রম অধিদপ্তর সেখানে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আলোচনা শুরু হয়।তবে সর্ব শেষ সংবাদের সূত্র মতে জানা যায় এখনো কোন সমাধানে আসেনি চা বাগান মালিক পক্ষ।পরবর্তী সংবাদে বিস্তারিত দেখুন………।   

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here