ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মহিলা মেম্বারকে ধর্ষণের অভিযোগ

0
279

নূরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে একই ইউপি সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। গতকাল ২৬ অক্টোবর মহিলা মেম্বার মমতা বেগম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর বিকাল ৪টায় ২নং বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোঃ জুয়েল মিয়া উপজেলা থেকে একটি বরাদ্ধ আনার জন্য মমতা বেগমকে ফোন করে জানান এবং তাৎক্ষনিক উপজেলায় যেতে বলেন, এমনকি তখন না গেলে বরাদ্ধ অন্যজন পেয়ে যাবে এই বলে আমাকে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাঙ্গনে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর মেম্বারের বরাদ্দের বিষয় জানতে চাইলে সে জানায় তুমি দেরি করে ফেলেছ তবে অসুবিধা নেই সন্ধ্যার সময় কর্তৃপক্ষ আসবেন, তখন তোমার কাগজপত্র দেওয়া হবে। আমি তার কথামত অপেক্ষা করতে থাকি। অপেক্ষা করতে করতে প্রায় রাত সাড়ে ১০টা হয়ে যায়। তখন আমি বিদায় নিয়ে চলে আসি। বাড়িতে আসার জন্য উপজেলার সামনে সিএনজির অপেক্ষা করতে থাকি। কোন যানবাহন না পেয়ে অপেক্ষা করতে করতে রাত প্রায় সাড়ে ১১টা হয়ে যায়। তখন হঠাৎ পিছন থেকে জুয়েল এসে বলে আমার এক পরিচিত সিএনজি আছে, চল সামনে যাই তোমাকে দিয়ে আসবে বাড়িতে। এই বলে আমাকে একটি বাসায় বসিয়ে রাখে গাড়ী আনতে যায়। কিছুক্ষন পড়ে এসে বলে কোন গাড়ী নেই, আজ তোমাকে এখানেই আমার সাথে থাকতে হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলব বলে আমার হাত থেকে আমার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। আমি চিৎকার করতে চাইলে আমার মুখ চেপে ধরে বলে যদি কোন রকম আওয়াজ করি তাহলে খুন করে ফেলব। এরপর আমাকে জোর করে রাতভর ধর্ষণ করে। আমার সন্তান ও স্বামীর দোহাই দিয়েও তাকে থামাতে পারিনি। আমাকে সারারাত ধর্ষণ করে ভোর হলে একটি সিএনজি গাড়ী এনে বিদায় করে দেয়। আমি বাড়িতে পৌছার আগেই সে আমার বাড়ী ও এলাকার মানুষের কাছে জানিয়ে দেয়। আমি বাড়িতে আসা মাত্রই আমার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমি এখন আমার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছি। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার চাইলে সে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি যদি কোন ধরনের মামলা বা অভিযোগ দায়ের করি আমাকে পৃথিবী থেকে উঠিয়ে দেবে। এমনকি এই বিষয়ে কাওকে না বলার জন্য বিভিন্ন উচ্চ মহল থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং আমি যেন গ্রাম থেকে বের হতে না পারি সে জন্য গ্রামের চার দিকে লোক পাহারা দিয়ে রেখেছে। এখন আমার অবস্থা এমন যে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে ২নং ইউপি চেয়ারম্যানকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।