সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতন!

    0
    550

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় কামাল হোসেন নামের একজন স্থানীয় সাংবাদিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিককে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট জাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত কামাল হোসেন তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ এবং দৈনিক শুভ প্রতিদিনের উপজেলা প্রতিনিধি।

    সাংবাদিক কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আমি আজ দুপুরে উপজেলার জাদুকাটা নদীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সংবাদের জন্য ছবি নিতে সেখানে গিয়েছিলাম। কাজ শেষে আমি ওই এলাকার একটি দোকানে বসে অন্যদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন ঘাগটিয়া গ্রামের মাহমুদুল ইসলাম, দীন ইসলাম ও রইস উদ্দিন এসে আমাকে এলোপাড়াতি মারধর শুরু করেন। পরে তারা আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বাজারের একটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।’ এদিকে, খবর পেয়ে বেলা আড়াইটার দিকে কামাল হোসেনের পরিবারের লোকজন স্থানীয় বাদাঘাট ফাঁড়ি থেকে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।

    এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক কামাল। তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা খবর পেয়ে কামাল হোসেনের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন।

    যাদুকাটা নদী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন অবৈধ উল্লেখ করে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রদ্মাসেন সিংহ বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা শুনেছি। এটি খুবই গুরুতর ঘটনা। আমরা এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক মামলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    ইউএনও আরো বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন গেলে শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। আবার চলে এলে এরা লুকিয়ে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে। তার পরও আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

    উল্লেখ্য,প্রশাসনিকভাবে নদীতে বালু পাথর উক্তোলন , ক্রয় বিক্রয় বন্ধ থাকার পরেও গত এক বছর ধরে ঘাগটিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত শ্রমিকরা নদীতে বিভিন্ন জাতের পাথর, কয়লা, লাকড়ি তুলছেন। নদীতে গত এক বছর ধরে কোন ধরণের কোয়ারী নেই। 

    সাংবাদিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের চিত্র ।