এবার কালিয়ায় নৌকার কার্যালয়ে ককটেল নিক্ষেপ ও আগুন

    0
    422

    নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরার নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল নিক্ষেপ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে বড় কালিয়ার ব্যাপারীপাড়া নির্বাচনী অফিসে ঘটনা ঘটে।

    লীগের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরার ভাই শহীদুল ইসলাম শাহী জানান, শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমান লিটনের কর্মী সমর্থকরা বড়কালিয়ার ব্যাপারীপাড়া নির্বাচনী অফিসে ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পরে নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে লিটনের পক্ষে মিছিল দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মিছিল থেকে কালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষকে হত্যার হুমকি দিয়ে শ্লোগান দেয়া হয়। 

    তবে ব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে কালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ এসব ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের নির্বাচনকে বানচাল করতে এই নাটক করা হয়েছে। জন্য যাদি প্রশাসন নিরপেক্ষ না থেকে আমাদের লোকদের বা আমাাকে ধরে নিয়ে যায় তাহলে আমার করার কিছু নাই।

    সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) রিপন চন্দ্র মাঝি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল সদৃশ্যবস্ত দুটি ছ্যানদা উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কালিয়ার আইনশংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। 

    বিষয়ে পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম বার) বলেন, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে জিরো টলারেন্স পন্থা আবলম্বন করবো। বিষয়টির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে বা যারা অপরাধ করবে তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।###

    আগামী ৩০ জানুয়ারী তৃতীয়ধাপে কালিয়া পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।  পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৬হাজার ৩শ ৮৩জন।  এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮হাজার ১শ ৪৭ জন এবং নারী ভোটার ৮হাজার ২শ ৩৬ জন। মেয়র পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, বিএনপির  এসএম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে জন সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯৭৬ সালে গঠিত কালিয়া পৌরসভাটি ২০১১ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হয়।